বাঁশখালী ইকোপার্ক বাংলাদেশের একটি দর্শনীয় স্থান, যা চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত। এটি দেশে পার্বত্য অঞ্চলে স্থাপিত যা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ৩০০ কিঃ মিঃ দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থিত।
বিশেষত্ব
[সম্পাদনা]চট্টগ্রাম শহর হতে ৫০ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলায় বামেরছড়া ও ডানেরছড়া এলাকার সমন্বয়ে ২০০৩ সালে ১,০০০ হেক্টর বনভূমি নিয়ে বাঁশখালী ইকোপার্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি চুনতি অভয়ারণ্য রেঞ্জের জলদি ব্লকে অবস্থিত।
১৯৯৭ সালের উদ্ভিদ জরিপ মতে এখানে পাওয়া যায় ৩১০ প্রজাতির উদ্ভিদ; এর মধ্যে ১৮ প্রজাতির দীর্ঘ বৃক্ষ, ১২ প্রজাতির মাঝারি বৃক্ষ, ১৬ প্রজাতির বেতসহ অসংখ্য অর্কিড, ইপিফাইট ও ঘাস জাতীয় গাছ। এই এলাকা গর্জন, গুটগুটিয়া, বৈলাম, সিভিট, চম্পাফুল এবং বিবিধ লতাগুল্ম সমৃদ্ধ চিরসবুজ বনাঞ্চলে ভরপুর। পার্ক এলাকার ৬৭৪ হেক্টর বনভূমিতে বিভিন্ন ধরনের বাফার, ভেষজ, দীর্ঘমেয়াদী উদ্ভিদের মনোমুগ্ধকর বাগান তৈরি করা হয়েছে।<
ইকোপার্কে বিচরণরত কয়েক হাজার বন্য প্রাণী ও বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ সম্পর্কে পর্যটকরা যাতে খুব সহজেই জানতে পারেন সেজন্য ২০১১ সালের ২১ আগস্টে ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় তথ্য ও শিক্ষাকেন্দ্র।
কীভাবে যাবেন
[সম্পাদনা]ঢাকা থেকে সকাল সন্ধ্যা যেকোন সময় বেশ কয়েকটি বাস সরাসরি চট্টগ্রাম হয়ে বাশঁখালী যায়। বেশ কিছু ট্রেন এবং বিমানেও চট্টগ্রাম যাওয়া যায়। সেখানকার বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে বাস বা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে বাঁশখালী উপজেলায় যাওয়া যায়। ইকোপার্কটি শহরের নিকটেই অবস্থিত।
ঘুরে দেখুন
[সম্পাদনা]নিকটবর্তী দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে বেড়াতে পারেন; এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্যগুলো হলো -
- বেলগাঁও চা বাগান;
- বাহারছড়া সমুদ্র সৈকত;
- বখশী হামিদ মসজিদ
- ছনুয়া কমিউনিটি সেন্টার
- নিম কালীবাড়ী
- শিখ মন্দির (বাণীগ্রাম)
- জমিদার মনু মিয়াজি বাড়ির পুরোনো ভবন ও মসজিদের মিনার
- মালকা বানুর দীঘি এবং মসজিদ
- খানখানাবাদ সমুদ্র সৈকত
- জলদী সংরক্ষিত বনাঞ্চল
- জলকদর খাল
- পশ্চিম উপকূলের লবণ মাঠ
- জাতেবী জামে মসজিদ
- নবী মসজিদ (অষ্টাদশ শতক)
- সরল্যার মসজিদ
- সরল্যার দীঘি
- মহিষের টেক সবুজ বেস্টনী।
কোথায় থাকবেন
[সম্পাদনা]বাঁশখালী পৌরসভা এলাকায় বেশ কিছু সুলভ সুলভ মূল্যের থাকার হোটেল রয়েছে; সেখানে রাত কাটানোর ব্যবস্থা রয়েছে।
কী খাবেন
[সম্পাদনা]বাঁশখালী পৌরসভা এলাকার বেশকিছু রেস্তোরাঁ রয়েছে যেগুলোতে সুলভ মূল্যে খাবার পাওয়া যায়।