উইকিভ্রমণ থেকে

বোয়ালখালী বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।

জানুন[সম্পাদনা]

চট্টগ্রাম জেলা সদর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার পূর্বে কর্ণফুলির দক্ষিণ পাড়ে ২২°২০´ থেকে ২২°২৫´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৫২´ থেকে ৯২°০৩´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে অবস্থিত বোয়ালখালী উপজেলার আয়তন ১৩৭.২৭ বর্গ কিলোমিটার। বোয়ালখালী থানা গঠিত হয় ১৯১০ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে। বোয়ালখালী উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়ন রয়েছে।

নামকরণ[সম্পাদনা]

এই জনপদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল এ অঞ্চলে অসংখ্য অলি বুজুর্গগণের পবিত্র রওজা শরীফ অবস্থিত এবং জগদ্বিখ্যাত ছুফীগণের পদচারণায় ধন্য এ অঞ্চল। বিখ্যাত দরবেশ ও ইসলাম প্রচারক বু-আলী কালান্দর শাহ'র নামে এই থানার নাম হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

জনসংখ্যা[সম্পাদনা]

২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বোয়ালখালী উপজেলার জনসংখ্যা ২,৮৭,১৭৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১,৪৮,৪৬৭ জন এবং মহিলা ১,৩৮,৭১১ জন। এ উপজেলার ৭৬% লোক মুসলিম, ২২% হিন্দু এবং ২% বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।

কীভাবে যাবেন[সম্পাদনা]

সড়কপথে[সম্পাদনা]

চট্টগ্রাম শহরের বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রাম-কানুনগোপাড়া-গোলক কানুন বাজার টেম্পু যোগে বোয়ালখালী যাওয়া যায়। এছাড়া চট্টগ্রাম নগরীর কাপ্তাই রাস্তার মাথা বা কালুরঘাট থেকে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগেও বোয়ালখালী যাওয়া যায়।

নৌপথে[সম্পাদনা]

চট্টগ্রাম নগরীর কালুরঘাট থেকে নৌপথেও বোয়ালখালী যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে কালুরঘাট-ভাণ্ডালজুড়ি লোকাল স্পীডবোট যোগে যেতে হবে। বিশেষ করে কধুরখীল, চরণদ্বীপ ও শ্রীপুর খরণদ্বীপ ইউনিয়নে নৌপথে সহজে যোগাযোগ করা যায়।

দর্শনীয় স্থান[সম্পাদনা]

  • শ্রীপুর বুড়া মসজিদ শ্রীপুর খরণদ্বীপ ইউনিয়নে অবস্থিত।
  • দেওয়ান ভিটা (আনুমানিক ১৭১১ খ্রিস্টাব্দ)
  • হযরত বু-আলী কালন্দর শাহ (রহ.) মাজার আহলা করলডেঙ্গা ইউনিয়নে অবস্থিত।
  • কালাচাঁন ঠাকুর বাড়ি পোপাদিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত।
  • লালার দীঘি কধুরখীল ইউনিয়নে অবস্থিত।
  • কানুনগোপাড়া শ্যামরায় মন্দির আমুচিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত।

এছাড়া এ উপজেলার ৩৬.৭৮ বর্গ কিলোমিটারের বিশাল এলাকা জুড়ে রয়েছে করলডেঙ্গা ও জ্যৈষ্ঠপুরা পাহাড়ী বনাঞ্চল। পাহাড়ী বনাঞ্চলের পাদদেশে অবস্থিত বিখ্যাত দরবেশ হযরত বু-আলী কালান্দর শাহের মাজার। এর অনতিদূরে পাহাড়ের সর্বোচ্চ চূড়ায় রয়েছে চণ্ডীর উদ্ভবস্থান বলে খ্যাত মেধস মুনির আশ্রম। এ আশ্রম থেকেই সর্বপ্রথম তৎকালীন ভারতীয় উপ-মহাদেশ সহ সারা বিশ্বে দুর্গা পূজার প্রচলন হয়েছে বলে কিংবদন্তি রয়েছে। এখানে দুর্গাপূজার উদ্বোধন উপলক্ষে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে দূর দূরান্তের হাজার হাজার নারী পুরুষের সমাগম ঘটে। বাংলাদেশের বৃহত্তম মৃৎ ভবন কধুরখীল উচ্চ বিদ্যালয় এখানেই প্রতিষ্ঠিত।

কোথায় থাকবেন[সম্পাদনা]

বোয়ালখালীতে থাকার জন্য সরকারি পরিচালনাধীন উপজেলা পরিষদ ডাক বাংলো ছাড়াও ব্যক্তি মালিকানাধীন সুলভ মূল্যে থাকার মত হোটেল রয়েছে।

খাওয়া দাওয়া[সম্পাদনা]

বোয়ালখালীর গোমদণ্ডী, কানুনগোবাজার, মুন্সিরহাট ইত্যাদি এলাকায় যে কোন রেস্টুরেন্টে সুলভ মূল্যে খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।