উইকিভ্রমণ থেকে

রংপুর বিভাগ বাংলাদেশের একটি প্রশাসনিক বিভাগ। এটি বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পূর্ব থেকেই (অর্থাৎ, পাকিস্তান আমল থেকেই) বৃহত্তর রংপুর (সাবেক রংপুর জেলা) ও বৃহত্তর দিনাজপুর (সাবেক দিনাজপুর জেলা) ছিল রাজশাহী বিভাগের অন্তর্গত; পরবর্তীকালে সরকারের প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস কার্যক্রমের সূত্রে ২০১০ সালে ২৫ জানুয়ারি বৃহত্তর রংপুর ও দিনাজপুরের আটটি জেলা, রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নীলফামারীলালমনিরহাট নিয়ে বাংলাদেশের সপ্তম বিভাগ রংপুর গঠিত হয়। ১৬,৩২০.২৬ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই বিভাগের ভৌগোলিক অবস্থান ২৫°২০´ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৬°৩৭´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°৫০´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ থেকে ৮৯°৫৩´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে। এর উত্তরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য; দক্ষিণে রাজশাহী বিভাগের জয়পুরহাট, বগুড়াময়মনসিংহ বিভাগের জামালপুর জেলা; পূর্বে ভারতের আসাম রাজ্য এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের অবস্থান। রংপুর বিভাগ কৃষি, প্রাকৃতিক সম্পদ, খনিজ সম্পদ ইত্যাদিতে সমৃদ্ধ।

জেলা[সম্পাদনা]

মানচিত্র
রংপুর বিভাগের মানচিত্র

কীভাবে যাবেন?[সম্পাদনা]

স্থলপথে[সম্পাদনা]

সড়কপথে ঢাকা হতে রংপুরের দূরত্ব ৩০৪ কিলোমিটার এবং রেলপথে ঢাকা হতে রংপুর রেল স্টেশনের দূরত্ব ৫২৯ কিলোমিটার।

সড়কপথ[সম্পাদনা]

ঢাকার গাবতলী, মহাখালী, সায়েদাবাদ, শ্যামলী, কল্যানপুর, কলাবাগান, ফকিরাপুল বাস স্টেশন থেকে রংপুর আসার সরাসরি দুরপাল্লার এসি ও নন-এসি বাস সার্ভিস আছে; এগুলোতে সময় লাগে ৫.৩০ হতে ৮ ঘণ্টা। ঢাকা থেকে রংপুরের উদ্দেশ্যে এনা, হানিফ, শ্যামলী, নাবিল, এসআর, আগমনী, ডিপজল প্রভৃতি পরিবহন কোম্পানীর বাস আছে প্রতি ১০ মিনিট পর পর।

  • এনা ট্রান্সপোর্ট (প্রা:) লি: মোবাইল +৮৮০১৭৬০-৭৩৭ ৬৫০ (মহাখালী), +৮৮০১৮৭২-৬০৪ ৪৯৮ (এয়ারপোর্ট), +৮৮০১৭৬০-৭৩৭ ৬৫১ (উত্তরা), +৮৮০১৭৬০-৭৩৭ ৬৫৩ (টঙ্গী), +৮৮০১৮৭২-৬০৪ ৪৭৫ (ফকিরাপুল), +৮৮০১৮৬৯-৮০২ ৭৩১ (মিরপুর);
  • হানিফ এন্টারপ্রাইজ: মোবাইল +৮৮০১৭১৩-৪০২৬৬১ (কল্যাণপুর), +৮৮০১৭১৩-৪০২৬৭১, +৮৮০১৭১৩-৪০২৬৩১ (আরামবাগ);
  • শ্যামলী পরিবহন: ☎ ০২-৯০০৩৩১, ৮০৩৪২৭৫ (কল্যাণপুর)।
  • ঢাকা-রংপুর রুটে সরাসরি চলাচলকারী পরিবহনে আসার ক্ষেত্রে ভাড়া হলো:
    • এসি বাসে - ৮০০/- (রেগুলার) ও ১২০০/- (এক্সিকিউটিভ) এবং
    • নন-এসি বাসে - ৩০০/- হতে ৫৫০/-।

রেলপথ[সম্পাদনা]

ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে রংপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা ট্রেনে সরাসরি এখানে আসা যায়। কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে প্রতিদিন একাধিক ট্রেন রংপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ঢাকা – রংপুর রুটে চলাচলকারী ট্রেনগুলো হলো:

  • রংপুর এক্সপ্রেস - রংপুর হতে রাত ০৮ টা ১০ মিনিটে ছাড়ে ও ঢাকা থেকে সকাল ০৮ টায় ছাড়ে;
  • লালমনি এক্সপ্রেস - ঢাকা থেকে রাত ১০ টা ১০ মিনিটে ছাড়ে;
  • নীলসাগর এক্সপ্রেস - ঢাকা থেকে সকাল ০৮ টায় ছাড়ে;
  • একতা এক্সপ্রেস - ঢাকা থেকে সকাল ০৯ টা ৫০ মিনিটে ছাড়ে;
  • দ্রুতযান এক্সপ্রেস - ঢাকা থেকে রাত ৮ টায় ছাড়ে

ঢাকা-রংপুর রুটে চলাচলকারী রেলে ঢাকা হতে সিলেট আসার ক্ষেত্রে ভাড়া হলো -

  • শোভন - ৪২০ টাকা;
  • শোভন চেয়ার - ৫০৫ টাকা;
  • ১ম শ্রেণির চেয়ার - ৬৭৫ টাকা;
  • ১ম শ্রেণির বাথ - ১,০১০ টাকা;
  • স্নিগ্ধা - ৮৪০ টাকা;
  • এসি সীট - ১,০১০ টাকা এবং
  • এসি বাথ - ১,৫১০ টাকা।

ট্রেন সম্পর্কিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন:

  • কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, ☎ ০২-৯৩৫৮৬৩৪,৮৩১৫৮৫৭, ৯৩৩১৮২২, মোবাইল নম্বর: +৮৮০১৭১১৬৯১৬১২;
  • বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন, ☎ ০২-৮৯২৪২৩৯;
  • ওয়েবসাইট: www.railway.gov.bd

আকাশ পথে[সম্পাদনা]

রংপুরে সরাসরি বিমানে আসা যায়; ঢাকা থেকে রংপুরের সাথে সরাসরি বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে। বাংলাদেশ বিমান, জেট এয়ার, নোভো এয়ার, রিজেন্ট এয়ার, ইউনাইটেড এয়ার - প্রভৃতি বিমান সংস্থার বিমান পরিষেবা রয়েছে ঢাকা থেকে রংপুর আসার জন্য।

বাংলাদেশ বিমানের একটি করে ফ্লাইট সপ্তাহে ৪ দিন ঢাকা-রংপুর ও রংপুর-ঢাকা রুটে চলাচল করে; ভাড়া লাগবে একপথে ৩,০০০/- এবং রিটার্ণ টিকিট ৬,০০০/-। সময়সূচী হলো:

  • ঢাকা হতে রংপুর - শনি, রবি, মঙ্গল, বৃহস্পতি - দুপুর ০২ টা ২০ মিনিট।
  • রংপুর হতে ঢাকা - শনি, রবি, মঙ্গল, বৃহস্পতি - দুপুর ০৩ টা ৩৫ মিনিট।

এই সম্পর্কিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন:

    • ম্যানেজার, সৈয়দপুর বিমান বন্দর, মোবাইল - +৮৮০১৫৫৬-৩৮৩ ৩৪৯।

জল পথে[সম্পাদনা]

অপ্রচলিত মাধ্যম হিসাবে নৌপথ ব্যবহৃত হয়ে থাকে; তবে কেবলমাত্র স্থানীয় পর্যায় ছাড়া অন্য কোনো এলাকার সাথে, কিংবা ঢাকা থেকে বা অন্যান্য বড় শহর হতে সরাসরি কোনো নৌযান চলাচল করে না। তবে, চরাঞ্চলে যোগাযোগের একমাত্র বাহন নৌযান।

দর্শনীয় স্থান ও স্থাপনা[সম্পাদনা]

খাওয়া দাওয়া[সম্পাদনা]

‘সিদল ভর্তা’ রংপুরের জনপ্রিয় খাবার, যা কয়েক ধরনের শুঁটকির সঙ্গে নানা ধরনের মসলা মিশিয়ে বেটে তৈরি করা হয়। এছাড়াও রয়েছে বিখ্যাত “হাড়িভাঙ্গা” আম, তামাক ও আখ। এখানে সাধারণভাবে দৈনন্দিন খাওয়া-দাওয়ার জন্য স্থানীয় হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলোতে সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায়। এখানে কিছু উন্নতমানের হোটেল রয়েছে:

  • মালদহ হোটেল;
  • নর্থ ভিউ, শহীদ মোবারক সরণী, রংপুর;
  • সিসিলি চাইনিজ রেস্তোরাঁ, রাজা রামমোহন রায় শপিং কমপ্লেক্স, রংপুর;
  • পারভেজ হোটেল, মেডিকেল মোড়, রংপুর;
  • কস্তূরী হোটেল, মেডিকেল মোড়, রংপুর;
  • স্টার হোটেল, মেডিকেল মোড়, রংপুর;
  • বৈশাখী, জাহাজ কোম্পানির মোড় এবং মেডিকেল মোড়, রংপুর।

থাকা ও রাত্রিযাপনের স্থান[সম্পাদনা]