উইকিভ্রমণ থেকে

লক্ষ্মীপুর জেলা বাংলাদেশের একটি জেলা যা চট্টগ্রাম বিভাগ এর অন্তর্গত। লক্ষ্মীপুর জেলার উত্তরে চাঁদপুর জেলা, পূর্বে নোয়াখালী জেলা, দক্ষিণ পশ্চিমে মেঘনা নদী এবং অপর পাড়ে ভোলাবরিশাল জেলা অবস্থিত।

জানুন[সম্পাদনা]

ইতিহাস থেকে জানা যায় “লক্ষ্মী” শব্দ হতে এই জেলার নামকরণ করা হয়েছে; “লক্ষ্মী” শব্দটি দ্বারা ধন-সম্পদ ও সৌভাগ্যের দেবী ‘লক্ষ্মী দেবী’-কে নির্দেশ করে এবং “পুর” দ্বারা শহর বুঝানো হয় বলে লক্ষ্মীপুর দ্বারা “সম্পদশালী শহর” বা “সৌভাগ্যের নগরী” বুঝানো হয়। দেশের মোট সয়াবিনের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ লক্ষ্মীপুর জেলায় উৎপাদিত হওয়ায় এই অঞ্চল “সয়াল্যান্ড” হিসেবে পরিচিত।

কীভাবে যাবেন?[সম্পাদনা]

স্থলপথে[সম্পাদনা]

সড়কপথে[সম্পাদনা]

লক্ষ্মীপুর জেলায় সাধারণত সড়কপথেই ভ্রমণ করা হয়ে থাকে। ঢাকা থেকে লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশ্য যেসব গাড়ি ছেড়ে যায় সেগুলোর মধ্যে ঢাকা এক্সপ্রেস (এসি/নন এসি), ইকোনো সার্ভিস (এসি/নন এসি), গ্রামীণ সার্ভিস, জননী পরিবহন, রয়েল কোচ (এসি), মিয়ামি এয়ার কন্ডিশন (এসি) অন্যতম। দিনে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এবং রাতে ঝিগাতলা, মোহাম্মদপুর, মিরপুর-১০, উত্তরা ও সাভার থেকে এসব গাড়ি ছেড়ে যায়।

রেলপথে[সম্পাদনা]

লক্ষ্মীপুরে কোনো রেললাইন না থাকায় সরাসরি ট্রেনে করে এখানে পৌছানো যায় না। রেলপথে লক্ষ্মীপুর যেতে হলে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে মঙ্গলবার বাদে প্রতিদিন বিকাল ৩.২০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়া আন্তঃনগর উপকূল এক্সপ্রেস এবং রাত ৭.১৫ মিনিটে ছেড়ে যাওয়া নোয়াখালী এক্সপ্রেসে করে নোয়াখালীর চৌমুহনী রেলস্টেশনে নেমে সেখান থেকে বাসে করে লক্ষ্মীপুর যেতে হবে।

জলপথে[সম্পাদনা]

সরাসরি এখানে আন্তঃজেলা নৌ-যোগাযোগ নেই বলে ঢাকা থেকে আসা যায় না। তবে, নৌপথে ঢাকা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে চাঁদপুরগামী যেকোনো লঞ্চে চাঁদপুর এসে সেখান থেকে সরাসরি লক্ষ্মীপুরে আসার জন্য বাস বা অন্যান্য বাহন রয়েছে।

আকাশপথে[সম্পাদনা]

এখানে কোনো বিমান বন্দর নেই বলে সরাসরি আকাশপথে এখানে আসা যায় না; নিকটবর্তী বিমানবন্দর চট্টগ্রমে হওয়ায় সেখানে এসে তারপর সড়কপথ সরাসরি বা রেলপথে নোয়াখালী হয়ে আসতে হবে।

কী দেখবেন[সম্পাদনা]

  • শাহ জকি (রা:) মাজার শরীফ
  • মেঘনা নদী
  • মটকা মসজিদ
  • শাহাপুর নীল কুঠি
  • দালাল বাজার জমিদার বাড়ী
  • কামানখোলা জমিদার বাড়ী
  • জ্বীনের মসজিদ
  • রায়পুর মত্স প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র(এশিয়ায় বৃহত্তম)
  • রায়পুর বড় মসজিদ।
  • মান্দারী বড় জামে মসজিদ।
  • শ্রীগোবিন্দ মহাপ্রভু আখড়া
  • দালাল বাজার মঠ
  • দালাল বাজার খোয়াসাগর দিঘী
  • কমলা সুন্দরী দীঘি
  • রামগঞ্জের শ্রীরামপুর রাজবাড়ী
  • মজু চৌধুরীর হাট
  • শিশু পার্ক
  • নন্দনপুর ঈদগাহ ময়দান
  • শাঁখারীপাড়া শ্রী শ্রী রামঠাকুর আশ্রম
  • ভাষা সৈনিক কমরেড তোয়াহা স্মৃতিসৌধ
  • মতির হাট
  • আলতাফ মাস্টার ঘাট (চরলক্ষী)
  • দত্তপাড়া কালীমাতা দেবোত্তর ও মোহনগঞ্জ অাশ্রম
  • কমলনগর উপজেলা কমপ্লেক্স
  • তেলিয়ার চর ও চর গজারিয়া
  • মেঘনা নদীবাদ (কমলনগর & রামগতি)
  • আনসারি (র.)এর মাজার, চর লরেন্স বাজার,কমলনগর।
  • রামগতি বুড়াকর্তা মন্দির & মেলা।
  • তিতা খাঁ জামে মসজিদ (লক্ষ্মীপুর সদর বাসস্ট্যান্ড থেকে তিন মিনিটের মত হাঁটলেই পেয়ে যাবেন।)। অপূর্ব কারুকার্য অঙ্কিত তিতা খাঁ জামে মসজিদ প্রায় তিনশত বছরের প্রাচীন ইতিহাস বহন করে চলেছে। আজিম শাহ (রঃ) বাগানের মধ্যে মসজিদটি আবিষ্কার করেন। (Q61747769)
  • ইসহাক জমিদার বাড়ি উইকিপিডিয়ায় ইসহাক জমিদার বাড়ি (Q64343365)
  • কামানখোলা জমিদার বাড়ি উইকিপিডিয়ায় কামানখোলা জমিদার বাড়ি (Q97256321)
  • শ্রীরামপুর রাজবাড়ী উইকিপিডিয়ায় শ্রীরামপুর রাজবাড়ী (Q61363179)
  • 1 দালাল বাজার জমিদার বাড়ি উইকিপিডিয়ায় দালাল বাজার জমিদার বাড়ি (Q25587286)

খাওয়া দাওয়া[সম্পাদনা]

এ অঞ্চলের মানুষ ভাত-মাছ,শাক-সবজি খেতে পছন্দ করে, এছাড়াও গরু,খাসি,হাস-মুরগি ও কবুতরের মাংস জনপ্রিয়। এ অঞ্চলে দই উৎসবের একটি অংশ, মিষ্টি-রসগোল্লার সাথে পানও বিয়ের একটি অংশ হিসেবে রয়েছে। বিভিন্ন রকমের আঞ্চলিক পিঠা পাওয়া যায় এখানে, পুলি পিঠা, পাটিসাপটা, চালের গুঁড়া পিঠা, তাল পিঠাসহ হরেক রকমের পিঠা পাওয়া যায়। এছাড়াও নারিকেল সুপারিতে ভরপুর লক্ষ্মীপুর।

রাত্রিযাপন[সম্পাদনা]

  • ইউনিক হোটেল, লক্ষ্মীপুর বাস স্ট্যান্ড, লক্ষ্মীপুর-৫৫৩৭৫ বেসরকারী
  • হোটেল ফিরোজ, গো-হাটা রোড, লক্ষ্মীপুর-৫৫২৮৩ বেসরকারী
  • হোটেল নূর, হাসপাতাল রোড, লক্ষ্মীপুর-০১৭১১৩৬৮৬৬৩ বেসরকারী
  • সার্কিট হাউজ, মেইন রোড, লক্ষ্মীপুর, সরকারী-৫৫২৭৭
  • সোপিরেট, সমসেরাবাদ, লক্ষ্মীপুর (বেসরকারী)- ৫৫৪৫৩