উইকিভ্রমণ থেকে

শালিখা উপজেলা বাংলাদেশের মাগুরা জেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক এলাকা। ২২৮.৬৪ বর্গ কিমি আয়তনের এই উপজেলাটি ২৩°১৫´ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৩°২৭´ উত্তর অক্ষাংশের এবং ৮৯°১৫´ পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে ৮৯°৩০´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত, যার উত্তরে ঝিনাইদহ সদরমাগুরা সদর উপজেলা; দক্ষিণে বাঘারপাড়ানড়াইল সদর উপজেলা; পূর্বে নড়াইল সদর, মাগুরা সদর, লোহাগড়ামহম্মদপুর উপজেলা এবং পশ্চিমে কালীগঞ্জবাঘারপাড়া উপজেলা

কীভাবে যাবেন?[সম্পাদনা]

রাজধানী ঢাকা থেকে উপজেলা সদরের দূরত্ব ১৫৫ কিলোমিটার এবং জেলা শহর হতে ১৪ কিলোমিটার। এখানে সড়ক পথে আসতে হয়। তবে, রেলপথ ও বিমান বন্দর নেই বলে এই দুটি মাধ্যমে এখানকার কোনো স্থানে সরাসরি আসা যায় না। এছাড়াও, অভ্যন্তরীণ নৌপথও ততটা উন্নত না-হওয়ায় সর্বত্র জলপথে আসা-যাওয়া করা যায় না।

আকাশপথ[সম্পাদনা]

এখানে কোন বিমানবন্দর না থাকায় সরাসরি আকাশপথে ভ্রমণ সম্ভব নয়। তবে অভ্যন্তরীণ রুটে বিমানে ঢাকা থেকে যশোর; অতঃপর সড়ক পথে মাগুরা আসা যায়।

সড়কপথ[সম্পাদনা]

রাজধানী শহরের সঙ্গে সরাসরি বাস যোগাযোগ আছে। আন্তঃজেলা বাস যোগাযোগব্যবস্থা আছে। গাবতলী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে শালিখা ভ্রমণের জন্য সরাসরি বাস পাওয়া যায়।

রেলপথ[সম্পাদনা]

মাগুরা জেলায় কোন রেলপথ নাই। সড়ক পথে চুয়াডাঙ্গা যাওয়ার পর চুয়াডাঙ্গা থেকে রেলপথে ঢাকা, খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, চাপাইনবাবগঞ্জ, সৈয়দপুর যাওয়া যায়।

নৌপথ[সম্পাদনা]

এখানে কোন আন্তঃজেলা নৌ যোগাযোগ নেই; কেবল অভ্যন্তরীণ দূরত্বে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নৌপথ ব্যবহৃত হয়।

দর্শনীয় স্থান[সম্পাদনা]

  • ছয়ঘরিয়া মসজিদ,
  • শালিখা ইকো পার্ক,
  • গোপালগ্রাম জামে মসজিদ (সপ্তদশ শতাব্দী),
  • তালখড়ি লোকনাথ আশ্রম (বৈষ্ণব যুগ),
  • তালখড়ির গোপাল জিউর মন্দির,
  • গঙ্গারামপুর পি কে মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯০০),
  • মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন স্মৃতিস্তম্ভ,
  • ছান্দড়া জমিদার বাড়ির ধ্বংসাবশেষ।

খাওয়া দাওয়া[সম্পাদনা]

শালিখায় স্থানীয় পর্যায়ের বিশেষ কোনো বিখ্যাত খাদ্য নেই। তবে স্থানীয় আম, লেবু এবং পেয়ারার বেশ সুখ্যাতি রয়েছে। বিল এলাকায় প্রচুর মাছ পাওয়া যায় এবং খামার ভিত্তিক হাঁস ও মুরগী পালন করা হয়। এখানে সাধারণভাবে দৈনন্দিন খাওয়া-দাওয়ার জন্য স্থানীয় হোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলোতে সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায়।

থাকা ও রাত্রি যাপন[সম্পাদনা]

শালিখায় থাকার জন্য স্থানীয় পর্যায়ের কিছু সাধারণ মানের হোটেল রয়েছে। এছাড়াও সরকারি ব্যবস্থাপনায় থাকার জন্যে রয়েছে উন্নতমানের -

সরকারি[সম্পাদনা]

  • জেলা পরিষদ ডাক বাংলো, আড়পাড়া, শালিখাপরিচালনায়ঃ জেলা পরিষদ, মাগুরা।

জরুরি নম্বরসমূহ[সম্পাদনা]

জননিরাপত্তা সম্পর্কিত যোগাযোগের জন্য
  • ওসি, শালিখাঃ মোবাইল: +৮৮০১৭১৩-৩৭৪ ১৮০।