সাতকানিয়া বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা।
জানুন
[সম্পাদনা]চট্টগ্রাম জেলা সদর থেকে প্রায় ৫৪ কিলোমিটার দক্ষিণে ২২°০১´ থেকে ২২°১৩´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৫৭´ থেকে ৯২°১০´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে অবস্থিত সাতকানিয়া উপজেলার আয়তন ২৮২.৪০ বর্গ কিলোমিটার। ১৯১৭ সালে সাতকানিয়া থানা গঠিত হয় এবং ১৯৮৩ সালে সাতকানিয়া থানাকে উপজেলায় রূপান্তরিত করা হয়। সাতকানিয়া উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ১৭টি ইউনিয়ন রয়েছে।
নামকরণ ও ইতিহাস
[সম্পাদনা]ব্রিটিশ শাসনামলে প্রশাসনিক ও বিচার কাজের সুবিধার্থে এখানে আদালত ভবন স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেওয়ায় বর্তমানে অবস্থিত সাতকানিয়া-বাঁশখালী আদালত ভবনের নামে জনৈক পেঠান নামক এক জমিদার ৭ কানি ভূমি (২৮০ শতক) সরকারকে দান করেন। তখন থেকে এ উপজেলার নাম সাতকানিয়া হয় মর্মে জনশ্রুতি আছে। উল্লেখ্য তখন থেকে বাঁশখালী, লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত অংশ সাতকানিয়া সার্কেল নামে পরিচিত ছিল। সার্কেলকে উন্নীত করে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের স্বার্থে আলাদা উপজেলা তৈরি করা হয়। এর ফলে ১৯৮৩ সালে সাতকানিয়া উপজেলা একটি স্বতন্ত্র উপজেলা হিসেবে পরিগণিত হয়।
জনসংখ্যা
[সম্পাদনা]২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সাতকানিয়া উপজেলার জনসংখ্যা ৩,৮৪,৮০৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১,৯০,৯৪১ জন এবং মহিলা ১,৯৩,৮৬৫ জন। এ উপজেলার ৮৯% মুসলিম, ১০% হিন্দু এবং ১% বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী। এ উপজেলায় মগ আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।
কীভাবে যাবেন
[সম্পাদনা]সড়কপথে
[সম্পাদনা]চট্টগ্রাম শহরের বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক হয়ে যে কোন বাস বা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে সাতকানিয়া উপজেলায় যাওয়া যায়।
রেলপথে
[সম্পাদনা]চট্টগ্রাম নগরীর বটতলী অথবা ষোলশহর রেলস্টেশন থেকে কক্সবাজারগামী রেলযোগে সাতকানিয়া পর্যন্ত গিয়ে সেখান থেকে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে সাতকানিয়া যেতে পারেন।
দর্শনীয় স্থান
[সম্পাদনা]- বায়তুল ইজ্জত বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের কেরানীহাট থেকে বাস বা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে বায়তুল ইজ্জত বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টারে আসা যায়।
- দারোগা মসজিদ ও ঠাকুর দীঘি কেরানীহাট থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দক্ষিণে সড়ক সংলগ্ন পশ্চিম পাশে অবস্থিত। বাস, সিএনজি চালিত অটোরিক্সা বা রিক্সাযোগে যাওয়া যায়।
- মির্জাখীল দরবার শরীফ কেরানীহাট হতে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে সাতকানিয়া ডলুব্রীজ, তারপর আবার সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে যাওয়া যায়।
- মাজের মসজিদ কেরানীহাট হতে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে সাতকানিয়া মোটরস্টেশন, তারপর রিক্সা যোগে বা পায়ে হেঁটে যাওয়া যায়।
- মক্কার বলি খেলার মাঠ কেরানীহাট হতে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে সাতকানিয়া ডলুব্রীজ, তারপর আবার সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে দেওদীঘি হয়ে মাদার্শা ইউনিয়নের মক্কার বলি খেলার মাঠে যাওয়া যায়।
- কাজীর জামে মসজিদ সাতকানিয়া উপজেলা থেকে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা বা বাস যোগে ১৫-২৫ টাকা ভাড়ায় ফুলতলা স্টেশন তথা কাজীর জামে মসজিদ গেইট।
- ছদাহা মৌলভী পাড়া জামে মসজিদ এবং মৌলানা আবুল খায়ের শাহ (রহ.) দরগাহ সাতকানিয়া কেরানীহাট থেকে সিএনজি অটোরিক্সা নিয়ে ১০০ টাকায় সহজে যাওয়া যায়।
এছাড়াও এ উপজেলার অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- উপজেলা শিশু পার্ক
- হলুদিয়া প্রান্তিক লেক
- আলিশা ডেসটিনি প্রজেক্ট
- কেঁওচিয়া বন গবেষণা প্রকল্প
- দরবারে আলিয়া গারাংগিয়া
- সাঙ্গু নদীর পাড় ও বৈতরণী-শীলঘাটার পাহাড়ী এলাকা
- আমিলাইশ বিল ও চরাঞ্চল
- মাহালিয়া জলাশয়
- সত্যপীরের দরগাহ
- ন্যাচারাল পার্ক
- ডলু খাল
- আনিস বাড়ি জামে মসজিদ
- তালতল নলুয়া রোড
- সোনাকানিয়া মঞ্জিলের দরগাহ
- রিল্যাক্স পার্ক
কোথায় থাকবেন
[সম্পাদনা]সাতকানিয়া পৌরসভা এলাকার যে কোন হোটেলে সুলভ মূল্যে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।
খাওয়া দাওয়া
[সম্পাদনা]সাতকানিয়া পৌরসভা এলাকার যে কোন রেস্টুরেন্টে সুলভ মূল্যে খেতে পারেন।