বিষয়বস্তুতে চলুন

উইকিভ্রমণ থেকে

দিনাজপুর জেলা বাংলাদেশের একটি প্রশাসনিক এলাকা, যা দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর বিভাগের অন্তর্গত। ২৫°১০´ উত্তর অক্ষাংশ হতে ২৬°০৪´ উত্তর অক্ষাংশে এবং ৮৮°২৩´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ হতে ৮৯°১৮´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে বিস্তৃত ৩,৪৩৭.৯৮ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই জেলার উত্তরে ঠাকুরগাঁওপঞ্চগড় জেলা; দক্ষিণে গাইবান্ধাজয়পুরহাট জেলা; পূর্বে নীলফামারীরংপুর জেলা এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য অবস্থিত। কাহারোল, খানসামা, ঘোড়াঘাট, চিরিরবন্দর, দিনাজপুর সদর, নবাবগঞ্জ, পার্বতীপুর, ফুলবাড়ী, বিরল, বিরামপুর, বীরগঞ্জ, বোচাগঞ্জ ও হাকিমপুর - এই তেরটি উপজেলার সমন্বয়ে গঠিত জেলাটি রাজধানী ঢাকা থেকে ৩৮৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

কীভাবে যাবেন?

[সম্পাদনা]

দেশের যেকোন স্থান হতে দিনাজপুরে সরাসরি আসতে হলে কেবলমাত্র স্থলপথে আসতে হয়; আকাশপথ বা জলপথে এখানে সরাসরি আসার কোনো ব্যবস্থা এখনও গড়ে ওঠেনি। দিনাজপুর জেলায় কোনো বিমানবন্দর না-থাকায় এবং নাব্যতা ও বড় নদ-নদী না-থাকায় এ অঞ্চলের সাথে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের আকাশপথে বা নৌ-পথে কোনো যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি।

স্থলপথে

[সম্পাদনা]

সড়ক পথে ঢাকা হতে দিনাজপুর জেলার দূরত্ব ৩৮৩ কিলোমিটার এবং রেলপথে ঢাকা হতে দিনাজপুর রেল স্টেশনের দূরত্ব ৪৮০ কিলোমিটার। জেলাটি বিভাগীয় শহর রংপুর হতে ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

সড়কপথ

[সম্পাদনা]

ঢাকা থেকে দিনাজপুর আসতে হলে মহাসড়ক পথে টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, বগুড়া এবং গাইবান্ধা জেলা হয়ে আসতে হয়। ঢাকা থেকে এখানে সরাসরি বাসে আসা যায়; বিভিন্ন বিলাসবহুল পরিবহন কোম্পানির গাড়ি ঢাকা-দিনাজপুর রুটে চলাচল করে, যেগুলোর মাধ্যমে এখানে আসা যায়। দিনাজপুর জেলা সদরের সাথে সকল উপজেলা পাকা সড়ক পথে যোগাযোগ রয়েছে। তাছাড়াও জেলা সদর হতে ইউনিয়নগুলোতে যাওয়ার জন্য পাকা রাস্তা রয়েছে।

ঢাকার গাবতলী, মহাখালী, সায়েদাবাদ, শ্যামলী, কল্যানপুর, কলাবাগান, ফকিরাপুল, আসাদগেট - প্রভৃতি বাস স্টেশন থেকে দিনাজপুর আসার সরাসরি দুরপাল্লার এসি ও নন-এসি বাস সার্ভিস আছে; এগুলোতে সময় লাগে ৬.৩০ হতে ৮ ঘণ্টা। ঢাকা থেকে দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে হানিফ, শ্যামলী, নাবিল, বাবলু, সেফ, এস. কে., রেখা, কান্তি, খালেক, কেয়া প্রভৃতি পরিবহন কোম্পানীর বাস আছে প্রতিদিন।

  • হানিফ এন্টারপ্রাইজ, ঢাকা : ☎ ০২-৯১৪ ৪৪৮২, ৮০১ ১৭৫০, ৯০০ ৩৩৮০, ৮১১ ৯৯০১, মোবাইল: ০১১৯৮-২২০ ০৫২ (শ্যামলী), ০১১৯০-১৮৮ ১৬৯ (গাবতলি) এবং দিনাজপুর : ☎ ০৫৩১-৫১৬৬৮, মোবাইল: +৮৮০১৭১৩-২০১ ৭০৬ (কালিতলা);
  • শ্যামলী পরিবহন, ঢাকা : ☎ ০২-৯০০৩৩১, ৮০৩৪২৭৫ (কল্যাণপুর), ৯১২৪১৩৯ (শ্যামলী) এবং দিনাজপুর : ☎ ০৫৩১-৬৪৯১৩, মোবাইল: +৮৮০১৮১৯-১২০ ৮৮৪, +৮৮০১৭১৬-৫৯৩ ৩৯৫, ০১১৯৮-১৫৫ ১৭০, +৮৮০১৬৭০-৯৮৮ ৪৮৭ (কালিতলা);
  • নাবিল পরিবহন, ঢাকা : ☎ ০২-৯০০ ৭০৩৬, ৯০১ ৩৬৮২, ৮১২ ৭৯৪৯, মোবাইল: +৮৮০১৭১৪-৮২৭ ৩৭৩ (আসাদগেট) এবং দিনাজপুর : ☎ ০৫৩১-৬১১৩২, মোবাইল: +৮৮০১৭১৭-১০০ ৩০০, +৮৮০১৭১২-৪০০ ৬০০ (কালিতলা);
  • বাবলু এন্টারপ্রাইজ, ঢাকা : ☎ ০২-৮১২০৬৫৩, মোবাইল +৮৮০১৭১৬-৯৩২১২২ (শ্যামলী-রিং রোড), +৮৮০১৭১৬-৪৫১৮৫৫ (টেকনিক্যাল) এবং দিনাজপুর : ☎ ০৫৩১-৬৩৬৮৮, মোবাইল: ০১১৯০-৩৭৬ ০৫৪, +৮৮০১৭১২-৭৬৩ ২৫৫, +৮৮০১৭১৭-৯৪৮ ৭৯০, +৮৮০১৭১৭-৮৬৯ ৪৬২ (কালিতলা);
  • সেফ লাইন পরিবহন, দিনাজপুর : মোবাইল: +৮৮০১৭২৯-১১৬ ৩০৩ (কালিতলা);
  • এস. কে. ট্রাভেলস্, দিনাজপুর : মোবাইল: +৮৮০১৭১৯-১৩১ ০৬২ (কালিতলা);
  • কান্তি পরিবহন, দিনাজপুর : মোবাইল: +৮৮০১৭১২-৪৬৮ +৮৮০১৭ (কালিতলা);
  • কেয়া পরিবহন, দিনাজপুর : মোবাইল: +৮৮০১৭২৪-৬৮০ ১১৭ (কালিতলা)।
  • ঢাকা-দিনাজপুর রুটে সরাসরি চলাচলকারী পরিবহনে আসার ক্ষেত্রে ভাড়া হলো:
    • এসি বাসে - ১,০০০/- এবং
    • নন-এসি বাসে - ৩৫০/- - ৭৫০/-।

রেলপথ

[সম্পাদনা]

দিনাজপুর জেলায় ১৪৭ কিলোমিটার রেলপথ এবং ১৭টি রেল স্টেশন স্টেশন রয়েছে এবং রাজধানী ঢাকা সহ বিভিন্ন শহরের সাথে রেলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থাও রয়েছে।

ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে ট্রেনে সরাসরি, অথবা লালমনিরহাট অভিমুখী ট্রেনে রংপুরের কাউনিয়া এসে সেখান থেকে সড়ক পথে দিনাজপুর জেলায় আসা যায়। কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে প্রতিদিন একাধিক ট্রেন দিনাজপুর - কাউনিয়া পথে যাতায়ত করে।

  • ঢাকা – দিনাজপুর রুটে চলাচলকারী ট্রেনগুলো হলো :
    • দ্রুতযান এক্সপ্রেস (বুধবার বন্ধ) - দিনাজপুর হতে সকাল ০৯ টা ১৫ মিনিটে ছাড়ে ও ঢাকায় সন্ধ্যা ০৬ টা ১০ মিনিটে পৌঁছে এবং ঢাকা থেকে রাত ০৮ টায় ছাড়ে ও ভোর ০৪ টা ৪০ মিনিটে দিনাজপুর পৌঁছে;
    • একতা এক্সপ্রেস (সোমবার বন্ধ) - দিনাজপুর হতে রাত ১১ টায় ছাড়ে ও ঢাকায় সকাল ০৮ টা ১০ মিনিটে পৌঁছে এবং ঢাকা থেকে সকাল ১০ টায় ছাড়ে ও সন্ধ্যা ০৬ টা ৫০ মিনিটে দিনাজপুর পৌঁছে।
  • ঢাকা – কাউনিয়া রুটে চলাচলকারী ট্রেনগুলো হলো:
    • ৭৭১ রংপুর এক্সপ্রেস (রবিবার বন্ধ) - রংপুর হতে রাত ০৮ টায় ছাড়ে ও ঢাকায় ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে পৌছে এবং ঢাকা থেকে সকাল ০৯ টায় ছাড়ে ও রংপুরে সন্ধ্যা ৭টায় পৌছে;
    • লালমনি এক্সপ্রেস (শুক্রবার বন্ধ) - ঢাকা থেকে রাত ১০ টা ১০ মিনিটে ছাড়ে।

ঢাকা-দিনাজপুর রুটে চলাচলকারী রেলে ঢাকা হতে দিনাজপুর আসার ক্ষেত্রে ভাড়া হলো -

  • শোভন সিট - ৩৬০ টাকা;
  • শোভন চেয়ার - ৪৩০ টাকা;
  • ১ম শ্রেণী চেয়ার - ৫৭০ টাকা;
  • ১ম শ্রেণী বার্থ - ৮৫৫ টাকা;
  • স্নিগ্ধা (এসি চেয়ার) - ৯৮৪ টাকা।

ট্রেন সম্পর্কিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন:

  • কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, ☎ ০২-৯৩৫৮৬৩৪,৮৩১৫৮৫৭, ৯৩৩১৮২২, মোবাইল নম্বর: +৮৮০১৭১১৬৯১৬১২;
  • বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন, ☎ ০২-৮৯২৪২৩৯;
  • দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশন, ☎ ০৫৩১-৬৪০১৮;
  • ওয়েবসাইট: www.railway.gov.bd।

আকাশ পথে

[সম্পাদনা]

দিনাজপুর জেলায় কোনো বিমানবন্দর না-থাকায় এখানে সরাসরি আকাশ পথে আসা যায় না, তবে ঢাকা থেকে সরাসরি বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের সাথে; ঢাকা থেকে সৈয়দপুর এসে সেখান থেকে সড়কপথে দিনাজপুর আসা যায়। বাংলাদেশ বিমান, জেট এয়ার, নোভো এয়ার, রিজেন্ট এয়ার, ইউনাইটেড এয়ার - প্রভৃতি বিমান সংস্থার বিমান পরিষেবা রয়েছে ঢাকা থেকে সৈয়দপুর আসার জন্য।

বাংলাদেশ বিমানের একটি করে ফ্লাইট সপ্তাহে ৪ দিন ঢাকা-সৈয়দপুর ও সৈয়দপুর-ঢাকা রুটে চলাচল করে; এতে যাতায়তের ক্ষেত্রে ভাড়া লাগবে একপথে ৩,০০০/- এবং রিটার্ণ টিকিট ৬,০০০/-। বিমানটির সময়সূচী হলো:

  • ঢাকা হতে সৈয়দপুর - শনি, রবি, মঙ্গল, বৃহস্পতি - দুপুর ০২ টা ২০ মিনিট।
  • সৈয়দপুর হতে ঢাকা - শনি, রবি, মঙ্গল, বৃহস্পতি - দুপুর ০৩ টা ৩৫ মিনিট।

এই সম্পর্কিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন:

    • ম্যানেজার, সৈয়দপুর বিমান বন্দর, মোবাইল - +৮৮০১৫৫৬-৩৮৩ ৩৪৯।

জল পথে

[সম্পাদনা]

অপ্রচলিত মাধ্যম হিসাবে নৌপথ ব্যবহৃত হয়ে থাকে; তবে কেবলমাত্র স্থানীয় পর্যায় ছাড়া অন্য কোনো এলাকার সাথে, কিংবা ঢাকা থেকে বা অন্যান্য বড় শহর হতে সরাসরি কোনো নৌযান চলাচল করে না। অবশ্য, চরাঞ্চলে যোগাযোগের একমাত্র বাহন নৌযান।

দর্শনীয় স্থান

[সম্পাদনা]
মানচিত্র
দিনাজপুরের মানচিত্র
  • 1 ঘুঘুডাঙ্গা জমিদার বাড়ি (দিনাজপুর শহর থেকে মাত্র ৬মাইল দক্ষিনে কোতয়ালী থানার আউলিয়াপুর ইউনিয়নে অবস্থিত।)। ঘুঘুডাঙ্গা জমিদার বাড়ি ঘুঘুডাঙ্গা জমিদার বংশের আদি পুরুষ নবীর মোহাম্মদ এর পুত্র ফুল মোহাম্মদ চৌধুরী নির্মিত একটি ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পূর্বে ৩০টি থানা নিয়ে গঠিত অবিভক্ত দিনাজপুর জেলার মুসলমান জমিদারদের মধ্যে ছিল ঘুঘুডাঙ্গা জমিদার। উইকিপিডিয়ায় নয়াবাদ মসজিদ (Q5557524)
  • 2 নয়াবাদ মসজিদ (দিনাজপুর শহর থেকে অটোরিকশায় পৌঁছে যাওয়া যায় নয়াবাদ মসজিদে।)। মসজিদের প্রবেশের প্রধান দরজার উপর স্থাপিত ফলক হতে জানা যায় এটি সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের রাজত্ব কালে ২ জৈষ্ঠ্য, ১২০০ বঙ্গাব্দে (ইংরেজি ১৭৯৩ সালে) নির্মাণ করা হয়। সেসময় জমিদার ছিলেন রাজা বৈদ্যনাথ। যিনি ছিলেন দিনাজপুর রাজ পরিবারের সর্বশেষ বংশধর। এলাকার অধিবাসীদের থেকে জানা যায় যে, ১৮ শতকের মাঝামাঝিতে কান্তনগর মন্দির তৈরির কাজে আগত মুসলমান স্থপতি ও কর্মীরা এই মসজিদটি তৈরি করেন। তারা পশ্চিমের কোন দেশ থেকে এসে নয়াবাদে বসবাস শুরু করে এবং তাদের নিজেদের ব্যবহারের জন্য এই মসজিদটি তৈরি করে উইকিপিডিয়ায় নয়াবাদ মসজিদ (Q3349262)
  • 3 কান্তজিউ মন্দির (দিনাজপুর থেকে অটোরিক্সা বা সিএনজি ভাড়া করে সহজেই কান্তজীর মন্দির দেখতে যেতে পারবেন।)। মন্দিরে উৎকীর্ণ শিলালিপি থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে তৎকালীন মহারাজা জমিদার প্রাণনাথ রায় এই মন্দিরের নির্মাণ শুরু করেন। পরবর্তীকালে ১৭২২ সালে প্রাণনাথ রায়ের মৃত্যুর পর তাঁর পোষ্যপুত্র মহারাজা রামনাথ রায় ১৭৫২ সালে মন্দিরের নির্মাণ শেষ করেন। তখন কান্তজীর মন্দিরটি ৭০ ফুট উঁচু ছিলো কিন্তু ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে মন্দিরটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বর্তমানে এর উচ্চতা ৫০ ফুট। বর্গাকার এই মন্দিরের বাইরের দেয়ালজুড়ে প্রায় ১৫,০০০ টেরাকোটা টালি বা পোড়ামাটির ফলকে লিপিবদ্ধ আছে মহাভারত, রামায়ণ এবং বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনীর ঘটনার চিত্ররূপ। তিন ধাপ বিশিষ্ট এই মন্দিরের চারদিক থেকে ভেতরের দেবমূর্তি দেখা যায়। ১ম তলার সকল প্রবেশপথে বহু খাঁজযুক্ত খিলান দেখতে পাওয়া যায়, আবার দুটো ইটের স্তম্ভ পর পর স্থাপন করে খিলানগুলোকে পৃথক করা হয়েছে। স্তম্ভগুলো দেখতে চমৎকার এবং অলংকরণযুক্ত। মন্দিরের ১ম তলায় ২১ টি, ২য় তলায় ২৭ টি এবং ৩য় তলায় ৩ টি দরজা-খিলান রয়েছে। কান্তজীর মন্দিরের পশ্চিম দিকে বারান্দা থেকে উপরে যাবার সিঁড়ি রয়েছে। উইকিপিডিয়ায় কান্তনগর মন্দির (Q3347158)
  • 4 স্বপ্নপুরী (বিনোদন পার্ক) (স্বপ্নপুরী নবাবগঞ্জ উপজেলাধীন হলেও ফুলবাড়ি উপজেলা সদর হত অত্যন্ত নিকটে। তাই দিনাজপুর সদর থেকে ফুলবাড়ি হয়ে স্বপ্নপুরী যাওয়া সহজ। রাজধানী ঢাকা থেকে দিনাজপুর গামী বাস যোগে বিরামপুর গিয়ে , নবাবগঞ্জ যেতে হবে তার পর নবাবগঞ্জ থেকে অটোরিক্সা নিয়ে আফতাবগঞ্জ যেতে হবে। এছাড়া ট্রেনে করে ফুলবাড়ি বা বিরামপুর যাওয়ার পর অটোরিক্সা, ভ্যান গাড়ি বা মাইক্রবাসে করে স্বপ্নপুরী যাওয়া যায়।)। স্বপ্নপুরী বিনোদন পার্ক বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার আফতাবগঞ্জে, উপজেলা সদর হতে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত। স্বপ্নপুরী পার্কে আভ্যন্তরে নিরিবিলি পরিবেশে আবাসিক রিসোর্ট আছে। সিঙ্গেল এবং ফ্যামিলি দুই ধরনেরইই রিসোর্ট রয়েছে। এগুলোর ভাড়া একটু বেশি। এছাড়া নবাবগঞ্জ উপজেলা শহরে কিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে। আরও রয়েছে ডাকবাংলো, যেখানে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে থাকা যায়। উইকিপিডিয়ায় স্বপ্নপুরী (বিনোদন উদ্যান) (Q7501164)
  • 5 দিনাজপুর রাজবাড়ি (রাজ বাটিকা)। দিনাজপুর রাজবাড়ি রাজা দিনাজ স্থাপন করেন। কিন্তু অনেকের মতামত পঞ্চদশ শতকের প্রথমার্ধে ইলিয়াস শাহীর শাসনামলে সুপরিচিত “রাজা গণেশ” এই বাড়ির স্থপতি। সপ্তদশ শতাব্দীর শেষের দিকে শ্রীমন্ত দত্ত চৌধুরী দিনাজপুরের জমিদার হন। কিন্তু শ্রীমন্ত দত্ত চৌধুরীর ছেলের অকাল মৃত্যুর হওয়াতে, তার ভাগ্নে “সুখদেব ঘোষ” তার সম্পত্তির উত্তরাধিকার হন। উইকিপিডিয়ায় দিনাজপুর রাজবাড়ি (Q16345579)
  • 6 রামসাগর (দিনাজপুর শহর থেকে রামসাগরের দূরত্ব প্রায় ১০ কি.মি.। শহর থেকে অটো রিক্সা যোগে খুব সহজে যাওয়া যায়।)। দিনাজপুর জেলার তাজপুর গ্রামে অবস্থিত মানবসৃষ্ট দিঘি। এটি বাংলাদেশে মানুষের তৈরি সবচেয়ে বড় দিঘি। দিনাজপুর জেলা শহর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দক্ষিণে তাজপুর গ্রামে দীঘিটি অবস্থিত। তটভূমিসহ রামসাগরের আয়তন ৪,৩৭,৪৯২ বর্গমিটার, দৈর্ঘ্য ১,০৩১ মিটার ও প্রস্থ ৩৬৪ মিটার। গভীরতা গড়ে প্রায় ১০ মিটার। পাড়ের উচ্চতা ১৩.৫ মিটার। দীঘিটির পশ্চিম পাড়ের মধ্যখানে একটি ঘাট ছিল যার কিছু অবশিষ্ট এখনও রয়েছে। বিভিন্ন আকৃতির বেলেপাথর স্ল্যাব দ্বারা নির্মিত ঘাটটির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ছিল যথাক্রমে ৪৫.৮ মিটার এবং ১৮.৩ মিটার। দীঘিটির পাড়গুলো প্রতিটি ১০.৭৫ মিটার উঁচু। উইকিপিডিয়ায় রামসাগর (Q7290102)
  • 7 সুখ সাগর ইকোপার্ক, দিনাজপুর শহর হতে উত্তর পূর্ব দিকে ২ কিলোমিটার দূরে রাজবাটী এলাকায় অবস্থিত। (শহর থেকে অটোরিকশা করে যাওয়া যায়।)। এই ইকোপার্কটি একটি পুকুরকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে। গ্রামীণ পরিবেশে এটি অবস্থিত। দিনাজপুর সদর উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলা জনসাধারণের জন্য পিকনিক ও ট্যুরিস্ট স্থান হিসাবে তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া সুখসাগর ইকোপার্কটিতে পাখির অভয়াশ্রম তৈরি করা হয়েছে যা জীবৈচিত্র্য সংরক্ষণ তথা পরিবেশ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করবে।
  • 8 দীপশিখা মেটি স্কুল, দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার মঙ্গলপুর ইউনিয়নের রুদ্রপুর গ্রাম (ঢাকা থেকে বাস, ট্রেন)। ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিরল উপজেলার রুদ্রাপুর গ্রামে মেটির মাটির স্কুলঘর নির্মাণ শুরু হয়। জার্মানির "শান্তি" নামের এক দাতাসংস্থা একাজে অর্থায়ন করে। ইমারতটি নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে মাটি, খড়, বালু ও বাঁশ, দড়ি, খড়, কাঠ, টিন, রড, ইট ও সিমেন্ট। মাটি ও খড় মেশানো কাদা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এর দেয়াল দেয়ালের ভিতের ওপর দেওয়া হয়েছে আর্দ্রতারোধক। ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে আন্তঃনগর ট্রেন দ্রুতযান এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনে যাওয়া যায়। এছাড়াও প্লেনে ঢাকা থেকে সৈয়দপুর থেকে দিনাজপুরে আসা যায়। এরপরে দিনাজপুর শহরের টেকনিক্যাল মোড় হতে বোচাগঞ্জ উপজেলাগামী বাসে চড়ে মঙ্গলপুর নেমে অটোতে মেটি স্কুল যাওয়া যায়। উইকিপিডিয়ায় দীপশিখা মেটি স্কুল (Q6715478)
  • 9 দিনাজপুর জাদুঘর, দিনাজপুর জেলার সদরের মুন্সিপাড়ায় (ঢাকা থেকে বাস, ট্রেন)। ছুটির দিন বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার। বিকাল ৪ টা থেকে সন্ধ্যা ৮ পর্যন্ত প্রখ্যাত প্রত্নতত্ত্ববিদ আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়া দিনাজপুরে সীতাকোট বিহার আবিষ্কারের পর প্রাচীন প্রত্নসম্পদ খোঁজার কাজে পূর্ণ মনোনিবেশ করলেন। এজন্য তিনি পুরো উত্তরবঙ্গ চষে বেড়ালেন। ঘুরলেন বৃহত্তম দিনাজপুরের আনাচে-কানাচে, রংপুর-বগুড়ার গ্রাম থেকে গ্রামে। এইসব সংগ্রহকে পুজিঁ করে ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে স্থানীয় কয়েকজনের সহায়তায় তিনি প্রতিষ্ঠা করলেন দিনাজপুর মিউজিয়াম। ৫ টাকা উইকিপিডিয়ায় দিনাজপুর জাদুঘর (Q13058226)
  • 1 রামসাগর জাতীয় উদ্যান, তাজপুর (দিনাজপুর জেলা শহর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দক্ষিণে, অটো রিক্সা যোগে খুব সহজে যাওয়া যায়)। রামসাগর মানবসৃষ্ট একটি দিঘি। তটভূমিসহ এর আয়তন ৪,৩৭,৪৯২ বর্গমিটার, দৈর্ঘ্য ১,০৩১ মিটার ও প্রস্থ ৩৬৪ মিটার। গভীরতা গড়ে প্রায় ১০ মিটার। পাড়ের উচ্চতা ১৩.৫ মিটার। দীঘিটির পশ্চিম পাড়ের মধ্যখানে একটি ঘাট ছিল যার কিছু অবশিষ্ট এখনও রয়েছে। বিভিন্ন আকৃতির বেলেপাথর স্ল্যাব দ্বারা নির্মিত ঘাটটির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ছিল যথাক্রমে ৪৫.৮ মিটার এবং ১৮.৩ মিটার। দীঘিটির পাড়গুলো প্রতিটি ১০.৭৫ মিটার উঁচু। রামসাগর জাতীয় উদ্যানে থাকার জন্য কটেজ রয়েছে। এখানে থাকার জন্য দিনাজপুর জেলা পরিষদ থেকে অনুমতি নিতে হবে এবং সেখানেই প্রয়োজনীয় ভাড়া পরিশোধ করতে হয়। উইকিপিডিয়ায় রামসাগর জাতীয় উদ্যান (Q7290101)

খাওয়া-দাওয়া

[সম্পাদনা]

‘সিদল ভর্তা’ এখানকার জনপ্রিয় খাবার, যা কয়েক ধরনের শুঁটকির সঙ্গে নানা ধরনের মসলা মিশিয়ে বেটে তৈরি করা হয়। এছাড়াও রয়েছে বিখ্যাত লিচু, “হাড়িভাঙ্গা” আম, বাদাম, তামাক ও আখ। এখানকার চিকন জাতের ‘বালাম চাল’ দেশ বিখ্যাত। এখানে সাধারণভাবে দৈনন্দিন খাওয়া-দাওয়ার জন্য স্থানীয় হোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলোতে সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায়।

রাত্রিযাপন

[সম্পাদনা]

দিনাজপুরে থাকার জন্য স্থানীয় পর্যায়ের সাধারণ মানের আবাসিক হোটেলের পাশাপাশি উন্নত মানের আবাসন ও রিসোর্ট রয়েছে। এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় থাকার জন্য উন্নতমানের আবাসন সুবিধা পাওয়া যায় -

  • সার্কিট হাউজ, দিনাজপুর, ☎ ০৫৩১-৬৩১১২;
  • জেলা পরিষদ ডাক বাংলো, দিনাজপুর সদর, দিনাজপুর, ☎ ০৫৩১-৬৫০৫৬, মোবাইল: +৮৮০১৭২০-৪৩৬ ২১৮;
  • পর্যটন মোটেল, দিনাজপুর সদর, দিনাজপুর, ☎ ০৫৩১-৬৪৭১৮;
  • পানি উন্নয়ন বোর্ড রেষ্ট হাউজ, মিশন রোড, দিনাজপুর সদর, দিনাজপুর, ☎ ০৫৩১-৬৩২৫২, ফ্যাক্স:০৫৩১-৬৩২৫২;
  • এলজিইডি রেষ্ট হাউজ, মিশন রোড, দিনাজপুর সদর, দিনাজপুর, ☎ ০৫৩১-৬৩৩৮১;
  • হর্টিকালচার সেন্টার রেষ্ট হাউজ, সুইহাড়ি, দিনাজপুর সদর, দিনাজপুর, ☎ ০৫৩১-৬৪৭৪৮;
  • রামসাগর জাতীয় উদ্যান রেষ্ট হাউজ, তাজপুর, দিনাজপুর সদর, দিনাজপুর, ☎ ০৫৩১-৬৫৫৫৮, ফ্যাক্স: ০৫৩১-৬৩০৯০;
  • যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গেষ্ট হাউজ, কাশিপুর, দিনাজপুর সদর, দিনাজপুর, ☎ ০৫৩১-৬১০৫৫;
  • বিএডিসি পাট বীজ খামারের রেষ্ট হাউজ, নশিপুর, দিনাজপুর সদর, দিনাজপুর, ☎ ০৫৩১-৬৫১৯১;
  • তুলা উন্নয়ন বোর্ড গেষ্ট হাউজ, নশিপুর, দিনাজপুর সদর, দিনাজপুর, ☎ ০৫৩১-৮৯০০৯;
  • গম ও ভূট্টা গবেষণা কেন্দ্র অতিথি ভবন, নশিপুর, দিনাজপুর সদর, দিনাজপুর, ☎ ০৫৩১-৬৩৯৫৭, ই-মেইল: dirwre@bari.gov.bd;
  • কারিতাস ট্রেনিং সেন্টার-কাম-গেষ্ট হাউজ, পশ্চিম শিবরামপুর, দিনাজপুর সদর, দিনাজপুর, ☎ ০৫৩১-৬৫৬৭৩, মোবাইল: +৮৮০১৭১৩-৩৮৪ ০৫৯, ই-মেইল: cbdinaj@btcl.net.bd;
  • এফপিএবি গেষ্ট হাউজ, ঘাসিপাড়া, দিনাজপুর সদর, দিনাজপুর, ☎ ০৫৩১-৬৩২১৪, মোবাইল: +৮৮০১৭১৫-৬৭২ ৪৫৬, ই-মেইল: dinajpur@fpab.org;
  • পুনর্ভবা আবাসিক হোটেল, দিনাজপুর সদর, দিনাজপুর, মোবাইল: ০১১৯৭-০৩২ ৪২৭;
  • পল্লী শ্রী, বালুবাড়ী, দিনাজপুর সদর, দিনাজপুর, ☎ ০৫৩১-৬৫৯১৭, ই-মেইল: pollisree@vahoo.com, pollisre@btcl.net.bd;
  • স্বপ্নপুরী গেষ্ট হাউস, নবাবগঞ্জ, দিনাজপুর, মোবাইল: +৮৮০১৭১২-১৩৪ ০৯৫;
  • হোটেল সোনার তরী আবাসিক, গণেশতলা, দিনাজপুর সদর, দিনাজপুর, মোবাইল: +৮৮০১৭১৬-০১৮ ৯৯৫;
  • তৈয়বা মজুমদার রেড ক্রিসেন্ট রক্তদান কেন্দ্র রেষ্ট হাউজ, উপশহর, দিনাজপুর সদর, দিনাজপুর, ☎ ০৫৩১-৬১৩০০;
  • ব্র্যাক গেষ্ট হাউজ, বাঁশের হাট, দিনাজপুর সদর, দিনাজপুর, মোবাইল: +৮৮০১৭১১-৮০৭ ৯৭৪;
  • বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ক্ষণিকা বিশ্রামাগার, সুইহারী, দিনাজপুর সদর, দিনাজপুর।