হবিগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের একটি জেলা, যা সিলেট বিভাগের অন্তর্গত। ২৩°৫৭´ হতে ২৪°৪২´ উত্তর অক্ষাংশে এবং ৯১°১০´ হতে ৯১°৪০´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে বিস্তৃত এই জেলার পূর্বে মৌলভীবাজার, পশ্চিমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কিশোরগঞ্জ, উত্তরে সুনামগঞ্জ ও সিলেট এবং দক্ষিণে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য অবস্থিত। আজমিরীগঞ্জ, চুনারুঘাট, নবীগঞ্জ, বানিয়াচং, বাহুবল, মাধবপুর, লাখাই ও হবিগঞ্জ সদর - এই আটটি উপজেলার সমন্বয়ে গঠিত জেলাটি রাজধানী ঢাকা থেকে ১৬৩ কিলোমিটার এবং বিভাগীয় শহর সিলেট থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
প্রবেশ
[সম্পাদনা]আকাশপথে
[সম্পাদনা]এই শহরটিতে সরাসরি বিমানে চলাচলের কোনো ব্যবস্থা এখনো তৈরি হয় নি; তবে ঢাকা হতে সিলেটে আকাশ পথে বিমানে এসে সেখান থেকে সড়কপথে সরাসরি কিংবা রেলপথে শায়েস্তাগঞ্জ এসে সেখান থেকে হবিগঞ্জ আসা যায়। ঢাকা থেকে সিলেটে আসার জন্য বাংলাদেশ বিমান, জেট এয়ার, নোভো এয়ার, রিজেন্ট এয়ার, ইউনাইটেড এয়আর - প্রভৃতি বিমান সংস্থার বিমান পরিষেবা রয়েছে।
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের একটি করে বিমান সপ্তাহে ৪ দিন ঢাকা- সিলেট ও সিলেট-ঢাকা রুটে চলাচল করে; ভাড়া লাগবে একপথে ৩,০০০/- এবং রিটার্ণ টিকিট ৬,০০০/-। সময়সূচী হলোঃ
- ঢাকা হতে সিলেট - শনি, রবি, মঙ্গল, বৃহস্পতি - সকাল ১১ টা ২০ মিনিট এবং দুপুর ১২ টায়।
- সিলেট হতে ঢাকা - শনি, রবি, মঙ্গল, বৃহস্পতি - দুপুর ১২ টা ২০ মিনিট এবং দুপুর ০১ টায়।
এই সম্পর্কিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেনঃ
- কর্পোরেট অফিসঃ উত্তরা টাওয়ার (৬ষ্ঠ তলা), ১ জসিম উদ্দিন এভিনিউ, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০, ☎ ০২-৮৯৩২৩৩৮, ৮৯৩১৭১২, ইমেইল: info@uabdl.com, ফ্যাক্স: ৮৯৫৫৯৫৯
- ঢাকা এয়ারপোর্ট সেলস অফিসঃ ডমেস্টিক উইং কুর্মিটোলা, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকা-১২৩০, ☎ ০২৮৯৫৭৬৪০, ৮৯৬৩১৯১, মোবাইল: +৮৮০১৭১৩-৪৮৬৬৬০
- ওয়েবসাইট: www.uabdl.com
স্থলপথে
[সম্পাদনা]সড়ক পথে ঢাকা হতে হবিগঞ্জের দূরত্ব ১৬৩ কিলোমিটার এবং বিভাগীয় শহর সিলেট হতে হবিগঞ্জের দূরত্ব ১০০ কিলোমিটার। রেলপথে ঢাকা হতে শায়েস্তাগঞ্জ স্টেশনের দূরত্ব ২০০ কিলোমিটার; এখানে রেল যোগাযোগ নেই বিধায়, প্রথমে শায়েস্তাগঞ্জ এসে তারপর হবিগঞ্জ আসতে হয়।
রেলপথ
[সম্পাদনা]হবিগঞ্জ আসার জন্য সরাসরি রেল যোগাযোগ নেই; এখানে আসতে হয় নয়াপাড়া বা শায়েস্তাগঞ্জ হয়ে। তবে, সবচেয়ে নিকটবর্তী ও আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির স্থান হলো শায়েস্তাগঞ্জ রেল স্টেশন।
ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশন বা চট্টগ্রাম রেল স্টেশন থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা ট্রেনে সরাসরি শায়েস্তাগঞ্জ এসে সেখান থেকে সড়ক পথে হবিগঞ্জ আসা যায়; কারণ শায়েস্তাগঞ্জ হচ্ছে রেলপথে সিলেট বিভাগে প্রবেশের অন্যতম প্রধান স্টেশন এবং এই শহরটির উপর দিয়েই মূল ঢাকা-সিলেট ও চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথটি বিস্তৃত। কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে প্রতিদিন একাধিক ট্রেন সিলেটের উদ্দেশ্যে ছাড়ে। ঢাকা – সিলেট এবং চট্টগ্রাম – সিলেট রুটে চলাচলকারী ট্রেনগুলো হলোঃ
- ৭১০ পারাবত এক্সপ্রেস - সিলেট হতে দুপুর ০৩ টায় ছাড়ে এবং ঢাকায় রাত ০৯ টা ৪৫ মিনিটে পৌছে (মঙ্গলবার বন্ধ) ও ঢাকা থেকে ভোর ০৬ টা ৩৫ মিনিটে ছাড়ে এবং সিলেট পৌছে দুপুর ০১ টা ৪৫ মিনিটে (মঙ্গলবার বন্ধ);
- ৭১৮ জয়ন্তীকা এক্সপ্রেস - সিলেট হতে সকাল ০৮ টা ৪০ মিনেটে ছাড়ে এবং ঢাকায় বিকাল ০৪ টায় পৌছে (বৃহস্পতিবার বন্ধ) ও ঢাকা থেকে দুপুর ১২ টায় ছাড়ে এবং সিলেট পৌছে সন্ধ্যা ০৭ টা ৫০ মিনিটে (কোন বন্ধ নেই);
- ৭২০ পাহাড়ীকা এক্সপ্রেস (শনিবার বন্ধ) সিলেট হতে সকাল ১০ টা ১৫ মিনিটে ছাড়ে এবং চট্টগ্রামে রাত ০৭ টা ৪৫ মিনিটে পৌছে;
- ৭২৪ উদয়ন এক্সপ্রেস (রবিবার বন্ধ) সিলেট হতে রাত ০৭ টা ২০ মিনিটে ছাড়ে এবং চট্টগ্রামে ভোর ০৫ টা ৫০ মিনিটে পৌছে;
- ৭৪০ উপবন এক্সপ্রেস - সিলেট হতে রাত ১০ টায় ছাড়ে এবং ঢাকায় ভোর ০৫ টা ১০ মিনিটে পৌছে (কোন বন্ধ নেই) ও ঢাকা থেকে রাত ০৯ টা ৫০ মিনিটে ছাড়ে এবং সিলেট পৌছে ভোর ৫ টা ১০ মিনিটে (বুধবার বন্ধ);
- ৭৭৪ কালনী এক্সপ্রেস - সিলেট হতে সকাল ০৭ টায় ছাড়ে এবং ঢাকায় দুপুর ০১ টা ২৫ মিনিটে পৌছে (শুক্রবার বন্ধ) ও ঢাকা থেকে বিকাল ০৪ টায় ছাড়ে এবং সিলেট পৌছে রাত ১০ টা ৪৫ মিনিটে (শুক্রবার বন্ধ)।
সড়কপথ
[সম্পাদনা]ঢাকার সায়েদাবাদ বাস স্টেশন থেকে হবিগঞ্জে আসার সরাসরি দুরপাল্লার বাস সার্ভিস আছে; এগুলোতে সময় লাগে ৪ হতে ৫ ঘণ্টা। ঢাকা থেকে সরাসরি হবিগঞ্জ আসার জন্য পরিবহন কোম্পানিগুলো হচ্ছে - অগ্রদুত পরিবহন (এসি ও নন-এসি), দিগন্ত পরিবহন (এসি ও নন-এসি) এবং বিছমিল্লাহ পরিবহন (নন-এসি)।
- ঢাকা-হবিগঞ্জ রুটে সরাসরি চলাচলকারী পরিবহনে আসার ক্ষেত্রে ভাড়া হলোঃ
- এসি বাসে - ২৫০ টাকা এবং
- নন-এসি বাসে - ২০০ টাকা।
- সরাসরি চলাচলকারী পরিবহন হবিগঞ্জ হতে ছাড়ার সময় হলোঃ
- অগ্রদুত পরিবহন - ভোর ০৪টা ৪৫ মিনিট, ভোর ০৫টা ১৫ মিনিট, সকাল ০৬টা, সকাল ০৭টা (এসি), সকাল ০৮টা, সকাল ১০টা ৩০ মিনিট, দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট, দুপুর ২টা এবং বিকাল ০৪টা (এসি)।
- দিগন্ত পরিবহন - ভোর ০৫টা ৩০ মিনিট, সকাল ০৬টা ৩০ মিনিট, সকাল ০৮টা ১৫ মিনিট, সকাল ০৮টা (এসি), সকাল ১১টা ৩০ মিনিট (এসি) এবং বিকাল ০৩টা।
- বিছমিল্লাহ পরিবহন - ভোর ০৫টা ৪৫ মিনিট, সকাল ০৬টা ১৫ মিনিট, সকাল ৭টা ৩০ মিনিট, সকাল ০৮টা ৩০ মিনিট, দুপুর ১২টা, দুপুর ০২টা ৩০ মিনিট এবং বিকাল ০৪টা ৩০ মিনিট।
- সরাসরি চলাচলকারী পরিবহন ঢাকা হতে ছাড়ার সময় হলোঃ
- অগ্রদুত পরিবহন - সকাল ০৭টা ১০ মিনিট, সকাল ০৮টা ৩০ মিনিট (এসি), সকাল ০৯টা ৫০ মিনিট, সকাল ১১টা ১০ মিনিট, দুপুর ০১টা ১০ মিনিট, বিকাল ০৪টা ৩০ মিনিট (এসি) এবং সন্ধ্যা ০৬টা ৩০ মিনিট।
- দিগন্ত পরিবহন - সকাল ০৯টা ১০ মিনিট, সকাল ১১টা ৫০ মিনিট, দুপুর ০১টা ৫০ মিনিট, বিকাল ০৩টা ১০ মিনিট (এসি), বিকাল ০৫টা ৫০ মিনিট (এসি) এবং সন্ধ্যা ০৭টা ৪৫ মিনিট।
- বিছমিল্লাহ পরিবহন - সকাল ০৬টা ৩০ মিনিট, সকাল ৭টা ৫০ মিনিট, সকাল ১০টা ৩০ মিনিট, দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট, দুপুর ০২টা ৩০ মিনিট, বিকাল ০৫টা ১০ মিনিট এবং সন্ধ্যা ০৭টা ১০ মিনিট।
এছাড়াও সিলেট বিভাগের যেকোন স্থানের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা দুরপাল্লার বাসে শায়েস্তাগঞ্জ এসে সেখান থেকে বাস, ম্যাক্সি, লেগুনা, সিএসজি অটোরিক্সা, জীপ প্রভৃতিতে করে হবিগঞ্জ জেলা সদরে আসা যায়। শায়েস্তাগঞ্জ হচ্ছে সড়কপথে সিলেট বিভাগের প্রবেশদ্বার ও অন্যতম প্রধান বাস স্টেশন এবং এখান দিয়েই মূল ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক বিস্তৃত বলে যেকোন বাসে করে এখানে এসে তারপর হবিগঞ্জ আসা সম্ভব। ঢাকা থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে হানিফ, শ্যামলী, এনা, ইউনিক, মামুন, সাউদিয়া, গ্রীনলাইন, মিতালি প্রভৃতি পরিবহন কোম্পানীর বাস আছে প্রতি ১০ মিনিট পর পর।
- ঢাকা-সিলেট রুটে সরাসরি চলাচলকারী পরিবহনে শায়েস্তাগঞ্জ আসার ক্ষেত্রে ভাড়া হলোঃ
- এসি বাসে - ১২০০ টাকা এবং
- নন-এসি বাসে - ৩৭০ টাকা।
১০০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত বিভাগীয় শহর সিলেট হতে 'হবিগঞ্জ বিরতিহীন এক্সপ্রেস' বাসে ২ থেকে ২:৩০ ঘণ্টায় হবিগঞ্জ আসা যায়। এপথে ভাড়া নেয়া হয় ১৫০ টাকা।
জলপথে
[সম্পাদনা]অপ্রচলিত মাধ্যম হিসাবে নৌপথ ব্যবহৃত হয়ে থাকে; তবে কেবলমাত্র শেরপুর ও আজমেরীগঞ্জ ছাড়া অন্য কোনো এলাকার সাথে ঢাকা থেকে বা সিলেট শহর হতে সরাসরি কোনো নৌযান চলাচল করে না। অপরদিকে, হাওড় এলাকায় যোগাযোগের একমাত্র বাহন নৌযান।
দেখুন
[সম্পাদনা]- বিথঙ্গল আখড়া। সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১২ কি: মি: দক্ষিণ পশ্চিমে হাওড় পাড়ে বিথঙ্গল গ্রামে অবস্থিত; যা দেশের বৈষ্ণব ধর্ম-অবলম্বীদের একটি অন্যতম তীর্থস্থান।
- কমলারাণীর দীঘি।
- তেলিয়াপাড়া চা বাগান ও সংলগ্ন মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ, মাধবপুর;
- কালেঙ্গা অভয়ারণ্য, চুনারুঘাট;
- শাহজীবাজার রাবার বাগান, মাধবপুর;
- সিপাহসালার সৈয়দ নাসির উদ্দিন (রঃ) এর মাজার, মুড়ারবন্দ, চুনারুঘাট;
- সৈয়দ ফতেহ গাজী (রঃ) এর মাজার, শাহজীবাজার, মাধবপুর;
- সাতছড়ি সংরক্ষিত বনাঞ্চল, হবিগঞ্জ সদর;
- রেমা কালেঙ্গা সংরক্ষিত বনাঞ্চল, হবিগঞ্জ সদর।
- শ্রীবাড়ি চা বাগান;
- রশিদপুর গ্যাস ক্ষেত্র (১৯৬০),
- বিবিয়ানা গ্যাস ক্ষেত্র, আজমিরীগঞ্জ
- হবিগঞ্জ গ্যাস ক্ষেত্র, মাধবপুর।
- 1 মশাজানের দিঘী (সৈয়দ গোয়াসের দীঘি), হবিগঞ্জ জেলা শহরের পাঁচ মাইল দক্ষিণে মশাজান বা মসাজান নামক গ্রামে এই দিঘীর অবস্থান। চারপাশে ঘন গাছগাছালি পরিবেষ্টিত লম্বাটে চৌকোণা আকৃতির দিঘীটির তলভাগে কোন রহস্যজনক কারণে অসংখ্য ছোট-বড় নিকষ কালো রঙের অমসৃণ শিলাখণ্ড বিদ্যমান। দৃশ্যত (পরীক্ষিত নয়) এই পাথরগুলো উল্কাপিণ্ডের সাথে হুবহু সামঞ্জস্যপূর্ণ। হয়তো এই পাথরগুলোর প্রভাবেই এর পানি কাঁচের ন্যায় এতটাই স্বচ্ছ যে অনেক গভীরের তলদেশ পর্যন্ত স্পষ্টত দেখা যায়। এই দিঘীর পানিতে বিভিন্ন রকম মাছ থাকা স্বত্বেও আশ্চর্যজনক ভাবে লক্ষণীয় বিষয় যে এতে কোনও ধরনের কচুরিপানা, জলজুদ্ভিদ, সাধারণ কীটপতঙ্গ বা জোঁকব্যাঙ একেবারেই টিকে থাকতে পারেনা। তাছারাও স্থানীয় জনগণের পরীক্ষিত বিষয় হিসেবে এটাও স্বীকৃত যে এই দিঘীতে কয়েকবার গোসল করলে সাধারণ পাছড়া বা চর্মরোগ সেরে যায়। কিন্তু এসবের কারণ নিরূপণে স্মরণকাল যাবত “অলির কেরামত” বলে প্রচলিত একটা লোকশ্রুতি ব্যতীত বিজ্ঞানভিত্তিক কোন পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়েছে বলে জানা যায় না।
স্থাপত্য
[সম্পাদনা]- উচাইল শংকরপাশা শাহী জামে মসজিদ, শংকরপাশা গ্রাম, রাজিউড়া ইউনিয়ন, হবিগঞ্জ জেলা সদর। এটি একটি এক চালা ভবন। ভবনটি দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ একই মাপের, যা ২১ ফুট ৬ ইঞ্চি। এর সম্মুখের বারান্দাটির প্রস্থ তিন ফুটের সামান্য বেশি। এতে চারটি গম্বুজ রয়েছে; মূল ভবনের উপর একটি বিশাল গম্বুজ এবং বারান্দার উপর রয়েছে তিনটি ছোট গম্বুজ। মসজিদটিতে মোট ১৫টি দরজা ও জানালা রয়েছে যা পরস্পর সমান আকৃতির প্রায়। পূর্ব-উত্তর-দক্ষিণ - এই তিন দিকের দেয়ালের পুরুত্ব প্রায় পাঁচ ফুট এবং পশ্চিমেরটি প্রায় দশ ফুট। এতে মোট ছয়টি কারুকার্য শোভিত স্তম্ভ আছে প্রধান কক্ষের চারকোণে ও বারান্দার দুই কোণে। উপরের ছাদ আর প্রধান প্রাচীরের কার্নিশ বাঁকানোভাবে নির্মিত। মসজিদের দক্ষিণ পার্শ্বে একটি বড় দীঘি রয়েছে।
- প্রাচীন রাজবাড়ির ধংসাবশেষ, বানিয়াচং;
- মহারত্ন জমিদার বাড়ি, বানিয়াচং;
- হবিগঞ্জ সার্কিট হাউজ - হবিগঞ্জ সদর;
আহার
[সম্পাদনা]হবিগঞ্জে স্থানীয় পর্যায়ের বিশেষ কোনো বিখ্যাত খাদ্য নেই। তবে স্থানীয় আনারস, কমলা, পান, লেবু এবং কাঠালের বেশ সুখ্যাতি রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে চা-পাতা। হাওড় এলাকায় প্রচুর মাছ পাওয়া যায় এবং খামার ভিত্তিক হাঁস পালন করা হয়। এখানে সাধারণভাবে দৈনন্দিন খাওয়া-দাওয়ার জন্য স্থানীয় হোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলোতে সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায়। স্থানীয় পর্যায়ের উন্নতমানের ও নিরিবিলি পরিবেশের রেস্তোরা হিসাবে রয়েছেঃ
- হোটেল জামিল;
- হোটেল আলিফ;
- হোটেল সোনার তরী।
রাত্রিযাপন
[সম্পাদনা]হবিগঞ্জে থাকার জন্য স্থানীয় পর্যায়ের কিছু মানসম্মত রেস্ট হাউস ও মোটামুটি মানের হোটেল রয়েছে, যেখানে ৪০০ থেকে ২,০০০ টাকায় বিভিন্ন ধরণের রুম পাওয়া যায়। আবাসিক ও রাত্রি যাপনের জন্য সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের যেসব আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে এখানে সেগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ
- সার্কিট হাউজ, হবিগঞ্জ, ☎ ০৮৩১-৫২২২৪।
- জেলা পরিষদ রেস্টহাউজ, হবিগঞ্জ।
- পানি উন্নয়ন বোর্ড রেস্টহাউজ, হবিগঞ্জ। সিংগেল কক্ষ ভাড়াঃ ১২০/- ও ডাবল কক্ষ ভাড়াঃ ২০০/-।
- শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে রেস্টহাউজ - বাংলাদেশ রেলওয়ে'এর ব্যবস্থাধীন (সরকারী)। মোবাইল: +৮৮০১৯২০-৪১৬৬২৩।
- সড়ক ও জনপথ বিভাগ রেস্টহাউজ - (সরকারী)।
- পল্লী বিদ্যুৎ রেস্টহাউজ, শায়েস্তাগঞ্জ - পল্লী বিদ্যুৎ'এর ব্যবস্থাধীন (সরকারী)।
- হোটেল সোনার তরী, হবিগঞ্জ। সিংগেল কক্ষ ভাড়াঃ ৩০০/- ও ডাবল কক্ষ ভাড়াঃ ৩৫০/- এবং এসি কক্ষ ভাড়াঃ ৭০০/-।