বিষয়বস্তুতে চলুন

উইকিভ্রমণ থেকে

দিঘাপাতিয়া রাজবাড়ি বা উত্তরা গণভবন বাংলাদেশের নাটোর শহর থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে এককালের দিঘাপাতিয়া মহারাজাদের বাসস্থান এবং বর্তমান উত্তরা গণভবন বা উত্তরাঞ্চলের গভর্মেন্ট হাউস।

প্রতিষ্ঠার ইতিহাস

[সম্পাদনা]

প্রাসাদের মূল অংশ এবং সংলগ্ন কিছু ভবন নির্মাণ করেছিলেন রাজা দয়ারাম রায়। রাজবংশের ষষ্ঠ রাজা প্রমদানাথ রায়ের আমলে ১৮৯৭ সালের ১০ জুন নাটোরের ডোমপাড়া মাঠে তিনদিনব্যাপী বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেসের এক অধিবেশন আয়োজন করেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরসহ অনেক বরেণ্য ব্যক্তি এ অধিবেশনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে যোগ দেন। অধিবেশনের শেষ দিন ১২ জুন প্রায় ১৮ মিনিটব্যাপী এক প্রলয়ংকরি ভূমিকম্পে রাজপ্রাসাদটি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। পরে রাজা প্রমদা নাথ রায় ১৮৯৭ সাল থেকে ১৯০৮ সাল পর্যন্ত ১১ বছর সময় ধরে বিদেশি বিশেষজ্ঞ, প্রকৌশলী ও চিত্রকর্ম শিল্পী আর দেশি মিস্ত্রিদের সহায়তায় সাড়ে ৪১ একর জমির উপর এই রাজবাড়ীটি পুনঃ নির্মাণ করেন।

যেভাবে যাবেন

[সম্পাদনা]

ঢাকা থেকে নাটোরগামী যেকোনো বাসে যাওয়া যাবে। ঢাকা থেকে নাটোরের চার ঘণ্টার পথ।এসি এবং ননএসি দুই ধরনের বাস এই রোডে চলাচল করে।এসি পরিবহনের মধ্যে রয়েছে গ্রিনলাইন ও হানিফ পরিবহন, শ্যামলী ইত্যাদি এবং নন এসির মধ্যে রয়েছে শ্যামলী ও ন্যাশনাল ট্রাভেলসের বাস এ পথে নিয়মিত চলাচল করে। রাজশাহীগামী যেকোন বাসে অথবা ট্রেনে নাটোর যাওয়া যাবে। নাটোর বাসস্ট্যান্ড বা রেলস্টেশন থেকে সিএনজি অটোরিকশায় মাত্র ১৫ মিনিটে যাওয়া যায় উত্তরা গণভবন।

যেখানে থাকবেন

[সম্পাদনা]

উত্তরা ভবনের আশেপাশে থাকার মতো তেমন কোনো হোটেল নেই। তাই রাতে থাকার জন্য ভিআইপি হোটেলের কোনো বিকল্প নেই। হোটেল আরপি হোটেল মিল্লাত মোটামুটি ভালো মানের হোটেল। কিছু সাধারণ মানের হোটেলও রয়েছে– হোটেল উত্তরা (ফকির হাট), হোটেল রুখসানা (কানাইখালি)।