জয়পুরহাট বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের একটি জেলা শহর।
জানুন
[সম্পাদনা]৯৬৫.৪৪ কিলোমিটার আয়তনের এই জেলাটি ২৪°৫১´ এবং ২৫°১৭´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮°১৭´ ও ৮৮°৫৫´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মাঝে অবস্থিত। এই জেলার উত্তরে দিনাজপুর জেলা, দক্ষিনে নওগাঁ ও বগুড়া জেলা, পূর্বে গাইবান্ধা জেলা এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য অবস্থিত। এ অঞ্চলে বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায় বাস করে যেমন সাঁওতাল, মুন্দা, ওরাঅন, কচরাজবংশি। ১৬শ এবং ১৭শ শতাব্দী পর্যন্ত জয়পুরহাটের ইতিহাস সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি তবে, এই অঞ্চলটি পাল ও সেন রাজবংশের অধীনে ছিল। প্রাচীন আমলে জয়পুরহাটের নাম ছিল বাঘাবাড়ীহাট এবং পরবর্তীতে এই জেলার নাম হয় গোপেন্দ্রগঞ্জহাট। অনেক বলে থাকে পাল সাম্রাজ্যর রাজা জয়পালের নামে এই জেলার নামকরন কর হয় জয়পুরহাট।
কীভাবে যাবেন?
[সম্পাদনা]স্থলপথে
[সম্পাদনা]সড়কপথ এবং রেলপথের সাহায্যে খুব সহজে ঢাকা থেকে জয়পুরহাট যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে সরাসরি বাস, ট্রেন আছে। ঢাকা হতে জয়পুরহাটগামী আন্তঃনগর ট্রেনের সময়সূচীঃ
ট্রেন নং | নাম | বন্ধের দিন | হইতে | ছাড়ে | গন্তব্য |
---|---|---|---|---|---|
৭৬৫ | নীলসাগর এক্সপ্রেস | সোমবার | ঢাকা | ০৬৪০ | চিলাহাটি |
৭০৫ | একতা এক্সপ্রেস | নেই | ঢাকা | ১০৪৫ | পঞ্চগড় |
আকাশ পথে
[সম্পাদনা]আকাশ পথে যাওয়ার কোন ব্যবস্থা নেই।
জল পথে
[সম্পাদনা]নদীপথে যাওয়ার সুবিধা নাই প্রশস্ত এবং নাব্য নদীর অভাবে।
দেখুন
[সম্পাদনা]- লীলাভুমি পাথরঘাট
- লাগর পীর (রঃ) এর মাজার
- নিমাই পীরের দরগা
- আছরাঙ্গা দীঘি
- লকমা রাজবাড়ি,
- শিশু উদ্যান,
- বারশিবালয় মন্দির,
- 1 নান্দাইল দীঘি, কালাই উপজেলার পুনট ইউনিয়নের নান্দাইল দীঘি নামক গ্রামে অবস্থিত। নান্দাইল দীঘি ১ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি বিশাল দীঘি। বলা হয়ে থাকে ১৬১০ সালে রাজা নান্দাইল এটি খনন করান। দিঘীটির আয়তন ৫৯.৪ একর। অনেকে বলে থাকেন যে এই দিঘীটি একরাতে খনন করা হয়েছিল। দীঘির তীরগুলো একসময় অনেক প্রশস্ত ছিল। শীতকালে অনেক অতিথি পাখি এখানে আসে।
খাওয়া দাওয়া
[সম্পাদনা]রাত্রি যাপন
[সম্পাদনা]- 1 হোটেল সৌরভ ইন্টারন্যাশনাল, থানা রোড, জয়পুরহাট, ☎ +০৮৮ ০৫৭১-৬২০০৭।
পরবর্তীতে যান
[সম্পাদনা]- বগুড়া - মহাস্থানগড় ও দইয়ের জন্য বিখ্যাত।
- নওগাঁ - বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি আম এখানে উৎপাদিত হয়। এছাড়া পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার জয়পুরহাট শহর থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত।