জামালপুর জেলা বাংলাদেশের একটি জেলা যা ময়মনসিংহ বিভাগের অন্তর্গত। ২৪°৩৪´ উত্তর অক্ষাংশ হতে ২৫°২৬´ উত্তর অক্ষাংশের এবং ৮৯°৪০´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ হতে ৯০°১২´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে বিস্তৃত এই জেলার উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্য, কুড়িগ্রাম ও শেরপুর জেলা; দক্ষিণে টাঙ্গাইল জেলা; পশ্চিমে ময়মনসিংহ ও শেরপুর জেলা এবং পূর্ব ময়মনসিংহ ও শেরপুর জেলা।
বিবরণ
[সম্পাদনা]জামালপুর জেলার আয়তন ২০৩১.৯৮ বর্গ কিলমিটার (৭৮৪.৫৫ বর্গমাইল)। এ জেলার নদী ও জলাশয়ের পরিমাণ ১৫০.০১ বর্গ কিলোমিটার এবং বনাঞ্চল হচ্ছে ১৮.১৬ বর্গ কিলোমিটার।
প্রবেশ
[সম্পাদনা]রেলপথে
[সম্পাদনা]জামালপুর থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ এবং অন্যান্য শহরগুলিতে ট্রেন চলাচল করে। জামালপুর থেকে ঢাকা এক্সপ্রেস, কমিউটার ও মেইল ট্রেন সহ মোট ৮টি ট্রেন চলাচল করে। আন্ত:নগর ট্রেনগুলো মোটামুটি সময়সূচি অনুযায়ী চলাচল করতে পারলেও মেইল এবং লোকাল ট্রেনগুলো সময়মতো চলাচল করতে পারে না। তবে ট্রেনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে মনে রাখবেন ট্রেনসমূহ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে গেলেও নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌছাতে পারে না, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেরীতে পৌছায়। তাই ভ্রমণের সময় বিষয়টি মনে রাখতে হবে এবং সেভাবে ভ্রমণ পরিকল্পনা করতে হবে।
আপনি রেলস্টেশনে গিয়ে টিকিট কাটতে পারেন আবার অনলাইনেও টিকিট কাটতে পারেন। যাত্রার দশ দিন আগে থেকেই ট্রেনের টিকেট করা যায়। অনলাইনে টিকেট করার ক্ষেত্রে টিকেট প্রতি ২০ টাকা অতিরিক্ত মাশুল দিতে হয়। সাধারনত আগেই টিকেট না করা থাকলে জামালপুর থেকে যাত্রার দিন টিকেট করলে সিট পাওয়ার সম্ভবনা অনেক কম। তাই জামালপুরে ট্রেনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে আগেই টিকেট করে রাখা ভাল।
জামালপুর থেকে ঢাকা ট্রেনের সময়সূচি :
জামালপুর থেকে ঢাকা রেলপথে দূরত্ব ১৭৭ কিলোমিটার। এই রেলপথে মোট পাঁচটি আন্তনগর ট্রেন এবং দুটি কমিউটার ট্রেন এবং একটি মেইল ট্রেন চলাচল করে। এই ট্রেনগুলোর মধ্যে তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের সার্ভিস সবচেয়ে ভাল।
- যমুনা এক্সপ্রেস (৭৪৬) — আন্ত:নগর যমুনা এক্সপ্রেস জামালপুর টাউন রেলওয়ে স্টেশন থেকে রাত ৩টা ১১ মিনিটে ছেড়ে যায়। ট্রেনটি ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছানোর নির্ধারিত সময় সকাল ৭:৩০ মিনিট। যমুনা এক্সপ্রেস সপ্তাহের সাতদিনই চলাচল করে। ট্রেনটিতে কোন শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বগি নেই।
- ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস (৭৪৪) — আন্ত:নগর ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস জামালপুর টাউন রেলওয়ে স্টেশন থেকে সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে যায়। ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছানোর নির্ধারিত সময় সকাল ১১:৫৫ মিনিট। ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস সপ্তাহের সাতদিনই চলাচল করে। ট্রেনটিতে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বগি রয়েছে।
- তিস্তা এক্সপ্রেস (৭০৮) — আন্ত:নগর তিস্তা এক্সপ্রেস জামালপুর টাউন রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিকাল ৩টা ৫৬ মিনিটে ছেড়ে যায়। ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছানোর নির্ধারিত সময় রাত ৮:২৫ মিনিট। তিস্তা এক্সপ্রেসের সাপ্তাহিক বন্ধ সোমবার। ট্রেনটিতে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বগি রয়েছে।
- জামালপুর এক্সপ্রেস (৮০০) — আন্ত:নগর জামালপুর এক্সপ্রেস জামালপুর টাউন রেলওয়ে স্টেশন থেকে সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে যায়। ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছানোর নির্ধারিত সময় রাত ১০:৪০ মিনিট। জামালপুর এক্সপ্রেসের সাপ্তাহিক বন্ধ রবিবার। ট্রেনটিতে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বগি রয়েছে।
- অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস (৭৩৬) — আন্ত:নগর অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস জামালপুর টাউন রেলওয়ে স্টেশন থেকে সন্ধ্যা ৭ টা ৪২ মিনিটে ছেড়ে যায়। ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছানোর নির্ধারিত সময় রাত ১১:৫০ মিনিট। অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস সপ্তাহের সাতদিনই চলাচল করে। ট্রেনটিতে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বগি নেই।
ঢাকা থেকে জামালপুর আন্তনগর ট্রেনের সময়সূচি :
- তিস্তা এক্সপ্রেস (৭০৭) — আন্ত:নগর তিস্তা এক্সপ্রেস কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে ছেড়ে যায়। ট্রেনটি জামালপুর পৌঁছানোর নির্ধারিত সময় সকাল ১১ টা ১০ মিনিট। তিস্তা এক্সপ্রেসের সাপ্তাহিক বন্ধ সোমবার। ট্রেনটিতে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বগি রয়েছে।
- জামালপুর এক্সপ্রেস (৭৯৯) — আন্ত:নগর জামালপুর এক্সপ্রেস কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সকাল ১০ টায় ছেড়ে যায়। ট্রেনটি জামালপুর পৌঁছানোর নির্ধারিত সময় দুপুর ১:৪০ মিনিট। জামালপুর এক্সপ্রেসের সাপ্তাহিক বন্ধ রবিবার। ট্রেনটিতে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বগি রয়েছে।
- অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস (৭৩৫) — আন্ত:নগর অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সকাল ১১ টা ৩০ মিনিটে ছেড়ে যায়। ট্রেনটি জামালপুর পৌঁছানোর নির্ধারিত সময় বিকাল ৩ টা ১৬ মিনিট। অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস সপ্তাহের সাতদিনই চলাচল করে। ট্রেনটিতে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বগি নেই।
- যমুনা এক্সপ্রেস (৭৪৫) — আন্ত:নগর যমুনা এক্সপ্রেস কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিটে ছেড়ে যায়। ট্রেনটি জামালপুর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছানোর নির্ধারিত সময় রাত ৯:২২ মিনিট। যমুনা এক্সপ্রেস সপ্তাহের সাতদিনই চলাচল করে। ট্রেনটিতে কোন শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বগি নেই।
- ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস (৭৪৩) — আন্ত:নগর ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিকাল ৬টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে যায়। ট্রেনটি জামালপুর পৌঁছানোর নির্ধারিত সময় রাত ১০:৩০ মিনিট। ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস সপ্তাহের সাতদিনই চলাচল করে। ট্রেনটিতে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বগি রয়েছে।
কমিউটার এবং মেইল ট্রেন
জামালপুর থেকে ঢাকা রেলপথে দুটি কমিউটার ট্রেন এবং একটি মেইল ট্রেন চলাচাল করে। এগুলি লোকাল ট্রেন নামে পরিচিত। এই ট্রেনগুলিতে ভ্রমণে সময় বেশি লাগে এবং এগুলোতে কোন শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বগি নেই। ট্রেনগুলো অনেকক্ষেত্রেই নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছায় না।
জামালপুর থেকে ঢাকা কমিউটার এবং মেইল ট্রেনের সময়সূচি :
- দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার (৪৮) — দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার জামালপুর টাউন রেলওয়ে স্টেশন থেকে দুপুর ১:৫৮ মিনিটে ছেড়ে যায়। ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছানোর নির্ধারিত সময় সন্ধ্যা ৭:১০ মিনিট।
- জামালপুর কমিউটার (৫২) — জামালপুর কমিউটার জামালপুর টাউন রেলওয়ে স্টেশন থেকে ভোর ৬:০০ মিনিটে ছেড়ে যায়। ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছানোর নির্ধারিত সময় সন্ধ্যা ১০:৫০ মিনিট।
ঢাকা থেকে জামালপুর কমিউটার এবং মেইল ট্রেনের সময়সূচি :
- দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার (৪৭) — দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ভোর ৫:৪০ মিনিটে ছেড়ে যায়। ট্রেনটি জামালপুর পৌঁছানোর নির্ধারিত সময় সকাল ১০:১৫ মিনিট।
- জামালপুর কমিউটার (৫১) — জামালপুর কমিউটার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিকাল ৩:৪০ মিনিটে ছেড়ে যায়। ট্রেনটি জামালপুর পৌঁছানোর নির্ধারিত সময় রাত ৮:৪০ মিনিট।
- ভাওয়াল এক্সপ্রেস (৫৫ে) (মেইল ট্রেন) — ভাওয়াল এক্সপ্রেস কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে রাত ৮:১৫ মিনিটে ছেড়ে যায়। ট্রেনটি জামালপুর পৌঁছানোর নির্ধারিত সময় রাত ১:৩০ মিনিট।
জামালপুর থেকে ঢাকা ট্রেনের ভাড়া
ভাড়া নির্ভর করে আপনি কোন বগিতে এবং কেমন সিটে ভ্রমণ করছেন তার উপর। জামালপুর থেকে ঢাকার ভাড়া দেওয়া হলো:
আন্ত:নগর ট্রেনের ভাড়া :
- শীততাপ নিয়ন্ত্রিত সিট — ৪৭৮ টাকা (সকল মাশুল সহ) । অনলাইনে টিকেট ক্রয়ের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ২০ টাকা দিতে হবে।
- স্নিগ্ধা (শীততাপ নিয়ন্ত্রিত) — ৪০৩ টাকা (সকল মাশুল সহ) । অনলাইনে টিকেট ক্রয়ের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ২০ টাকা দিতে হবে।
- প্রথম চেয়ার — ৩২২ টাকা (সকল মাশুল সহ) । অনলাইনে টিকেট ক্রয়ের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ২০ টাকা দিতে হবে।
- প্রথম সিট — ৩২২ টাকা (সকল মাশুল সহ) । অনলাইনে টিকেট ক্রয়ের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ২০ টাকা দিতে হবে।
- শোভন চেয়ার — ২১০ টাকা (কোন অতিরিক্ত মাশুল নেই) । অনলাইনে টিকেট ক্রয়ের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ২০ টাকা দিতে হবে।
কমিউটার ও মেইল ট্রেনের ভাড়া :
- কমিউটার ট্রেন — ৮০ টাকা (কোন অতিরিক্ত মাশুল নেই) । অনলাইনে টিকেট ক্রয় করা যায় না।
- মেইল ট্রেন — ৭০ টাকা (কোন অতিরিক্ত মাশুল নেই) । অনলাইনে টিকেট ক্রয় করা যায় না।
জামালপুর থেকে চট্টগ্রাম ট্রেনের সময়সূচি :
জামালপুর থেকে চট্টগ্রাম রেলপথে দূরত্ব ৪৪৫ কিলোমিটার। এই পথে মোট দুটি ট্রেন চলাচল করে, একটি আন্ত:নগর ট্রেন অপরটি মেইল ট্রেন।
- বিজয় এক্সপ্রেস (৭৮৫) — জামালপুর থেকে সরাসরি চট্টগ্রামে বিজয় এক্সপ্রেস নামের একটি আন্ত:নগর ট্রেন চলাচল করে। আন্ত:নগর বিজয় এক্সপ্রেস জামালপুর টাউন রেলওয়ে স্টেশন থেকে রাত ৮টা ১০ মিনিটে ছেড়ে যায়। ট্রেনটি চট্টগ্রাম পৌঁছানোর নির্ধারিত সময় ভোর ৫ টায়। বিজয় এক্সপ্রেসের সাপ্তাহিক বন্ধ মঙ্গলবার। ট্রেনটিতে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বগি এবং বার্থ বগি রয়েছে।
- ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস (৩৮) — জামালপুর থেকে সরাসরি চট্টগ্রামে ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস নামের একটি মেইল ট্রেন চলাচল করে। ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস জামালপুর টাউন রেলওয়ে স্টেশন থেকে ভোর ৫টা ২০ মিনিটে ছেড়ে যায়। ট্রেনটি চট্টগ্রাম পৌঁছানোর নির্ধারিত সময় রাত ৯ টায়। ট্রেনটি সপ্তাহের সাতদিনই চলাচল করে। কোন মেইল ট্রেনেই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বগি নেই।
চট্টগ্রাম থেকে জামালপুর ট্রেনের সময়সূচি :
- বিজয় এক্সপ্রেস (৭৮৫) — আন্ত:নগর বিজয় এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে যায়। ট্রেনটি জামালপুর পৌঁছানোর নির্ধারিত সময় বিকাল ৬ টা ১০ মিনিটে। বিজয় এক্সপ্রেসের সাপ্তাহিক বন্ধ মঙ্গলবার। ট্রেনটিতে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বগি রয়েছে।
- ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস (৩৭) — ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিকাল ৪টা ১০ মিনিটে ছেড়ে যায়। ট্রেনটি সপ্তাহের সাতদিনই চলাচল করে। কোন মেইল ট্রেনেই শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বগি নেই।
জামালপুর থেকে চট্টগ্রাম ট্রেনের ভাড়া
- শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বার্থ — ১৮০৬ টাকা (সকল মাশুল সহ) । অনলাইনে টিকেট ক্রয়ের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ২০ টাকা দিতে হবে।
- শীততাপ নিয়ন্ত্রিত সিট — ১২০৮ টাকা (সকল মাশুল সহ) । অনলাইনে টিকেট ক্রয়ের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ২০ টাকা দিতে হবে।
- স্নিগ্ধা (শীততাপ নিয়ন্ত্রিত) — ১০০৭ টাকা (সকল মাশুল সহ) । অনলাইনে টিকেট ক্রয়ের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ২০ টাকা দিতে হবে।
- শোভন চেয়ার — ৫২৫ টাকা (কোন অতিরিক্ত মাশুল নেই) । অনলাইনে টিকেট ক্রয়ের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ২০ টাকা দিতে হবে।
সড়ক পথে
[সম্পাদনা]ঢাকা থেকে সড়ক পথে জামালপুরের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। ঢাকার মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে অধিকাংশ বাস ছেড়ে যায়। এছাড়া ঢাকার কল্যাণপুর এবং নারায়নগঞ্জ থেকেও কয়েকটি বাস ছেড়ে যায়। ঢাকার মহাখালী থেকে জামালপুরের দূরত্ব ১৭৬ কি.মি.।
এই রুটে এসি ও নন-এসি উভয় ধরনের বাস রয়েছে। এই রুটে চলাচলকারী উল্লেখযোগ্য পরিবহনগুলোর মধ্যে রয়েছে – বিআরটিসি বাস সার্ভিস, রাজিব এন্টারপ্রাইজ, জামালপুর ট্রাভেলস, শেরপুর ট্রাভেলস্, প্রভৃতি।
ঘুরে দেখুন
[সম্পাদনা]জামালপুর থেকে ঢাকা বা অন্যান্য জেলায় বাস চলাচল করলেও জামালপুরের অন্যান্য উপজেলায় কোন লোকাল বাস চলাচল করে না। বিভিন্ন রুটে 'সিএনজি' অটোরিক্সা চালু রয়েছে যা মূলত তিনচাকার মোটর যান। এছাড়াও, ব্যাটারীচালিত রিক্সা, ঐতিহ্যবাহী রিকশা এবং রিক্সা ভ্যান খুবই সহজলভ্য। জামালপুর থেকে সরিষাবাড়ি, মেলান্দহ, ইসলামপুর এবং দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় ট্রেনে চলাচল করা যায়। তাছাড়া প্রতিটি উপজেলা সদরে দিন-রাত ২৪ ঘন্টা 'সিএনজি' অটোরিক্সায় চলাচলা করা যায়।
হেটে
[সম্পাদনা]হাঁটাও একটি সম্ভাবনাময়, কারণ শহরটি খুব বিভ্রান্তিকর নয়, শহরের মাঝ বরাবর একটি প্রধান সড়ক চলে গেছে। তবে নজর রাখা উচিৎ কারণ রাস্তাগুলি খুব ব্যস্ত হতে পারে, বিশেষ করে স্টেশন রোড, কথাকলি মার্কেট, সকাল বাজার এলাকা, পাঁচরাস্তা মোড়ের আশেপাশে৷ জামালপুর শহর মূলত উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত, হোটেলগুলি মোটামুটি একে অপরের কাছাকাছি হওয়ায় হাঁটা একটি যুক্তিসঙ্গত বিকল্প হতে পারে।
রিকশায়
[সম্পাদনা]শহরে প্রচুর পরিমানে ব্যাটারীচলিত রিক্সা চলাচল করে। আপনি শহরের এবং এর আশেপাশে যেকোন জায়গায় এমনকি কাছাকাছি উপজেলা যেমন মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, সরিষাবাড়ি খুব সহজেই রিক্সায় চলাচল করতে পারবেন। শহরের চারপাশে যাওয়ার দ্রুততম উপায়গুলির মধ্যে একটি হল রিকশা। শহরে থাকাকালীন আপনার সম্পূর্ণভাবে রিকশার উপর নির্ভর করা উচিত। রিকশাগুলি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে শহরের ভয়াবহ যানজটের জন্য দায়ী৷ তবুও, গাড়িতে ঘুরে বেড়ানোর চেয়ে রিকশায় ঘুরে বেড়ানো অনেক ভালো বিকল্প। তবে রিকশা মিটার ব্যবহার করে না, তাই ওঠার আগে ভাড়া নিয়ে আলোচনা করা অপরিহার্য। কয়েক কিলোমিটারের বেশিরভাগ যাত্রার জন্য ২০-১০০ ভাড়া টাকা হতে পারে।
চিত্তাকর্ষক স্থান
[সম্পাদনা]- হযরত শাহ জামাল (রঃ)-এর মাজার - জামালপুর সদর
- হযরত শাহ কামাল (রঃ)-এর মাজার - দুরমুঠ, মেলান্দহ উপজেলা।
- মহিরামকুল জমিদার কাচারি ও দিঘি - মেলান্দহ উপজেলা;
- তারতাপাড়া নীলকুঠি - মাদারগজ্ঞ উপজেলা;
- নরপাড়া দুর্গ - সরিষাবাড়ী উপজেলা;
- নান্দিনার শোলাকুড়ি পাহাড়;
- শ্রীপুরের রানীপুকুর দিঘি;
- চন্দ্রার হরিশচন্দ্রের দিঘি- জামালপুর সদর উপজেলা;
- প্রদ্যোৎঠাকুরের কুঠিবাড়ি - ইসলামপুর উপজেলা;
- গারো পাহাড় - বকশীগঞ্জ উপজেলা।