অবয়ব
নাটোর বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগ এর একটি উল্লেখযোগ্য শহর।
কীভাবে যাবেন
[সম্পাদনা]বাসে
[সম্পাদনা]ঢাকার গাবতলী ও মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে নাটোর যাবার জন্য এসি-ননএসি বাস আছে। এর মধ্যে দেশ ট্রাভেলস, ন্যাশনাল ট্রাভেলস, হানিফ ইন্টারপ্রাইজ, তুহিন এলিট, গ্রামীণ ট্রাভেলস উল্লেখযোগ্য।
- দেশ ট্রাভেলস, ☎০১৭৪৬৪৭৪৭৮০
- ন্যাশনাল ট্রাভেলস, ☎০১৭২৭৫৪৫৪৬০
- হানিফ ইন্টারপ্রাইজ, ☎০১৭২০২১৪৭৮৫
- তুহিন এলিট
- গ্রামীণ ট্রাভেলস
- শ্যামলী পরিবহন
আকাশ পথে
[সম্পাদনা]নাটোর হতে প্রায় ৫০ কি.মি. পশ্চিমে রাজশাহীতে 'শাহ মখদুম বিমানবন্দর' অবস্থিত। এখানে রাজশাহী-ঢাকা-রাজশাহী রুটে উড়োজাহাজ চলাচল করে।
দর্শনীয় স্থান
[সম্পাদনা]- 1 নাটোর রাজবাড়ী, রাজবাড়ী রোড, ☎ +৮৮০ ১৭৪০৬৪৩৬২০। ০৯:০০-১৮:০০।
- 2 উত্তরা গণভবন (দিঘাপাতিয়া রাজবাড়ি) (নাটোর বাসস্ট্যান্ড বা রেলস্টেশন থেকে সিএনজি অটোরিকশায় মাত্র ১৫ মিনিটে যাওয়া যায়।)। এটি আঠারো শতকে নির্মিত দিঘাপতিয়া মহারাজাদের বাসস্থান ছিল। ১৯৪৭ সালে দেশবিভাগের পর দিঘাপতিয়া রাজা দেশত্যাগ করে ভারতে চলে যান। ১৯৫০ সালে জমিদারি অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন পাশ হওয়ার পর দিঘাপতিয়ার রাজ প্রাসাদটির রক্ষণাবেক্ষণে বেশ সমস্যা দেখা দেয়। সমস্যা সমাধানে দিঘাপতিয়ার মহারাজাদের এই বাসস্থানকে ১৯৬৭ সালের ২৪শে জুলাই তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মোনায়েম খান গভর্নরের বাসভবন হিসেবে উদ্বোধন করেন। পরে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে ১৯৭২ সালের ৯ই ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে এর নাম পরিবর্তন করে উত্তরা গণভবন ঘোষণা করেন। তিনি ১৯৭২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি এই ভবনের মূল প্রাসাদের ভিতর মন্ত্রিসভার বৈঠক আহ্বান করেন। সেই থেকে ভবনটি ‘উত্তরা গণভবনে'র প্রকৃত মর্যাদা লাভ করে।
- 3 চলন বিল। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের একটি বৃহৎ বিল। এটি নাটোর, সিরাজগঞ্জ, এবং পাবনা জেলা জুড়ে বিস্তৃত। সাতচল্লিশটি নদী ও অন্যান্য জলপথ চলন বিলের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়।
- 4 হালতির বিল (হালতি বিল) (নাটোর সদর থেকে ১০ কিলোমিটার উত্তরে)। হালতি বিল আত্রাই নদীর সাথে সংযুক্ত। প্রাকৃতিক মাছের প্রজননস্থল হিসেবে হালতি বিল বিখ্যাত।
- দয়ারামপুর জমিদার বাড়ি (দয়ারামপুর রাজবাড়ি), দয়ারামপুর, বাগাতিপাড়া, নাটোর (নাটোর শহর থেকে অটো বা বাসযোগে দয়ারামপুর রাজবাড়ি যাওয়া যায়।)।
- শহীদ সাগর স্মৃতিস্তম্ভ (শহীদ সাগর), গোপালপুর, লালপুর উপজেলা, নাটোর জেলা, বাংলাদেশ। শহীদ সাগর ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নাটোরের নর্থ বেঙ্গল চিনি কারখানায় সংগঠিত গণহত্যার স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ। এটি মূলত একটি পুকুরকে কেন্দ্র করে, যার পানি ১৯৭১ সালের ৫ মে জমাট বেঁধে লাল হয়েছিল শহীদদের রক্তে। ১৯৭৩ সালের ৫ মে শহীদ সাগর চত্বরে শহীদ লে. আনোয়ারুল আজিমের স্ত্রী বেগম শামসুন্নাহার স্মৃতিসৌধ উদ্বোধন করেন ০০৳।
খাওয়া দাওয়া
[সম্পাদনা]কাঁচাগোল্লা নাটোর জেলার একটি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি। দেশব্যাপী কাঁচাগোল্লার স্বাদের জন্য বিখ্যাত। এটি নাটোরের যে কোন মিষ্টির দোকানে পাওয়া যায়। সবচেয়ে বিখ্যাত কাঁচাগোল্লা পাওয়া যায় কালিবাড়ী মন্দির গেট, মৌচাক মিষ্টান্ন ভান্ডারে।
রাত্রিযাপন করুন
[সম্পাদনা]নাটোরে থাকার জন্য হোটেল ও গেস্টহাউজের মধ্যে রয়েছে:
- হোটেল ভিআইপি, বড় হরিষপুর, নাটোর (এই হোটেলটি কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের ১ কিলোমিটার পশ্চিমে এবং মাদ্রাসা মোড়ের পূর্বে অবস্থিত।)।
- হোটেল মিল্লাত, মাদ্রাসা মোড়, নাটোর সদর, নাটোর (এই হোটেলটি কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের ১ কিলোমিটার পশ্চিমে এবং মাদ্রাসা মোড়ের পূর্বে অবস্থিত।)।
- হোটেল প্রিন্স, রেলওয়ে স্টেশন বাজার, নাটোর সদর, নাটোর (নাটোর রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন), ☎ +৮৮০৭৭১-৬১৩৫৬, +৮৮০১৭৪৬০২৯৪২৯।
- হোটেল রাজ, মাদ্রাসা মোড়, নাটোর সদর, নাটোর, ☎ +৮৮০৭৭১-৬৬৬৬০, +৮৮০১৭২৭৩৭১৫০০।
- হোটেল রুখসানা, কানাইখালী, পুরান বাসস্ট্যান্ড, নাটোর সদর, নাটোর, ☎ +৮৮০৭৭১-৬২৪৩১, +৮৮০১৭৩৯৯৮৭০১৭।
- নাটোর বোর্ডিং, নিচাবাজার, হাসপাতাল সড়ক, নাটোর সদর, নাটোর, ☎ +৮৮০৭৭১-৬২০০১।
- নাটোর সুগার মিলস গেস্টহাউজ, নাটোর সুগার মিলস এলাকা, নাটোর সদর, নাটোর।