উইকিভ্রমণ থেকে
রাজারানি মন্দির

ভুবনেশ্বর (ওড়িয়া: ଭୁବନେଶ୍ଵର) ওড়িশার রাজধানী, মহানদীর শাখা কুয়াখাই নদীর ধারে অবস্থিত। কোণার্কপুরী মিলে এটি ওড়িশা পর্যটনের এক "স্বর্ণ ত্রিভুজ" গঠন করছে।

ভুবনেশ্বর হচ্ছে ওড়িশার বাণিজ্যিক রাজধানী কটক থেকে ৩০ কিমি দূরে অবস্থিত। এটি আবার নিজেই এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক কেন্দ্র। এটি ভারতের সবচেয়ে দ্রুতহারে বর্ধনশীল শহরের মধ্যে একটি, এবং মূলত এর নির্মাণ ও তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রটি দ্রুতহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১০০টিরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ ভুবনেশ্বর পূর্ব ভারতের ছাত্রদের কাছেও অত্যন্ত জনপ্রিয়।

প্রবেশ[সম্পাদনা]

আকাশপথে[সম্পাদনা]

বিমানবন্দর থেকে[সম্পাদনা]

বিমানবন্দরে দুটি অনুমোদিত ট্যাক্সি পরিষেবা বর্তমান, বেসরকারি কার্জনমেন্ট ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ দ্বারা পরিচালিত প্রিপেড ট্যাক্সি পরিষেবা। বাহিরপথে উভয়ের কাউন্টার বর্তমান। নিরাপত্তাজনিত বাধা অতিক্রম করলেই আপনি প্রিপেড ট্যাক্সি পেতে পারেন, কিন্তু কার্জনমেন্ট এই বাধার ভেতর ও বাইরে উভয় জায়গায় পাওয়া যায়। একমাত্র বাধা অতিক্রম করার পরেই ট্যাক্সি ভাড়ার সিদ্ধান্ত নেবেন। এছাড়া আপনার গন্তব্য শহরের মধ্যে হলে আপনি রেডিও ট্যাক্সি ভাড়া করতে পারেন।

রেলপথে[সম্পাদনা]

ভুবনেশ্বর পূর্ব উপকূল রেলের (ইকোআর) সদরদপ্তর, এবং এটি হাওড়া–চেন্নাই প্রধান রেলপথে অবস্থিত। এটি বেশিরভাগ ভারতীয় শহরের সঙ্গে সংযুক্ত। ভুবনেশ্বর শহরে দুটি রেলওয়ে স্টেশন বর্তমান: 2 ভুবনেশ্বর (শহরের মাঝখানে) ও 3 ভুবনেশ্বর নিউ (শহরের উত্তরে)। বিভিন্ন পুরীগামী ট্রেন ভুবনেশ্বর স্টেশনে থামে।

ভুবনেশ্বরগামী কিছু এক্সপ্রেস ট্রেন:

  • চেন্নাই থেকে: করমণ্ডল এক্সপ্রেস, হাওড়া মেল
  • মুম্বই সিএসএমটি থেকে: কোণার্ক এক্সপ্রেস
  • নতুন দিল্লি থেকে: দুরন্ত এক্সপ্রেস, পুরুষোত্তম এক্সপ্রেস, তেজস রাজধানী এক্সপ্রেস
  • বেঙ্গালুরু থেকে: হাওড়া এক্সপ্রেস, প্রশান্তি এক্সপ্রেস
  • হাওড়া থেকে: চেন্নাই মেল, করমণ্ডল এক্সপ্রেস, ধৌলি এক্সপ্রেস, ফলকনুমা এক্সপ্রেস, জনশতাব্দী এক্সপ্রেস, পুরী শতাব্দী এক্সপ্রেস, পুরী সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস, পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, যশবন্তপুর এক্সপ্রেস
  • হায়দ্রাবাদ থেকে: ফলকনুমা এক্সপ্রেস, কোণার্ক এক্সপ্রেস, বিশাখা এক্সপ্রেস

গাড়িতে[সম্পাদনা]

ভুবনেশ্বর জাতীয় সড়ক ১৬-তে (এনএইচ ১৬) অবস্থিত, যা কলকাতা থেকে চেন্নাই পর্যন্ত বিস্তৃত। ভুবনেশ্বর কটক থেকে ৩২ কিমি দূরে, পুরীকোণার্ক থেকে ৬২–৬৪ কিমি দূরে, চিল্কা হ্রদ থেকে ১৩০ কিমি দূরে, গোপালপুর থেকে ১৮৪ কিমি দূরে, কলকাতা থেকে ৪৮০ কিমি দূরে, বিশাখাপত্তনম থেকে ৪৪৫ কিমি দূরে, চেন্নাই থেকে ১,২২৫ কিমি দূরে অবস্থিত।

বাসে[সম্পাদনা]

এই অঞ্চলের বিভিন্ন শহর থেকে বাস বারামুন্ডা বাস স্টেশনে থামে। এই বাস স্টেশনে যাওয়ার জন্য অটো ভাড়া করা উচিত যেহেতু এটি শহরের মাঝখানে অবস্থিত নয়। এই স্টেশন থেকে টিকিট কাটা যায়, এবং সেখানে একাধিক ভোজনশালা, মুদিখানা, এমনকি নাপিত বর্তমান। বাসগুলি দেখতে জরাজীর্ণ কিন্তু অদ্ভুতভাবে সজ্জিত ও অত্যন্ত সস্তা (২০১৫ সালের শুরুতে রাতে কলকাতা যাওয়ার ভাড়া ₹৪০০)।

ঘুরে দেখুন[সম্পাদনা]

মানচিত্র
ভুবনেশ্বরের মানচিত্র

ভুবনেশ্বরের রাস্তা ভারতীয় মান অনুযায়ী ভালভাবে সুসজ্জিত, এবং শহরের নতুন অংশের রাস্তা ভালভাবে পরিকল্পিত। ঘুরে বেড়ানো খুবই সহজ ও সস্তা।

বাসে[সম্পাদনা]

শহর জুড়ে বিভিন্ন টাউন বাস পরিষেবা বর্তমান। এগুলি সরকার দ্বারা পরিচালিত ও সস্তা। ড্রিম টিম সাহারা (ডিটিএস) হচ্ছে বেসরকারি বাস কোম্পানি সাহারা ও ওড়িশা সরকারের যৌথ উদ্যোগ। প্রায় ২০ মিনিট অন্তর পূর্বাহ্ন ৬:৩০ থেকে অপরাহ্ন ১০:৩০ পর্যন্ত এই বাস পরিষেবা পাওয়া যায়, যদিও নির্দিষ্ট রুটের জন্য সময় বিভিন্ন। টাউন বাসের দর অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত, ১৫ কিমি যাত্রার খরচ ₹২৫। একমাত্র নগদ টাকার মাধ্যমে সেখানে টিকিট কাটা যায়। ভারতের অন্যান্য অন্তঃনগর বাসের মতো এই বাসগুলিতে অত্যন্ত ভিড় হয়।

ট্যাক্সি করে[সম্পাদনা]

ভুবনেশ্বরে একাধিক অনলাইন ট্যাক্সি কোম্পানি বর্তমান, যেমন ওলা ক্যাব (অটো, শেয়ার ট্যাক্সি, ক্যাব), উবার (ক্যাব), ক্লিয়ার কার রেন্টাল (ক্যাব), ট্যাক্সিভুবনেশ্বর (ক্যাব), ট্র্যাভেলসঙ্গী (ক্যাব), জুগ্নু (অটো) ও র‍্যাপিডো (বাইক)। একদিনের জন্য পুরী, কোণার্ক কিংবা চিল্কা ভ্রমণের জন্য আপনি ওলা বা উবার ভাড়া করতে পারেন। তবে আপনি আরও নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য হায়ার্ড ট্যাক্সিও পেতে পারেন।

অটোরিকশা করে[সম্পাদনা]

অটোরিকশা ভুবনেশ্বরের জীবনরেখা এবং আপনি শহরের বেশিরভাগ রাস্তায় এটি পেতে পারেন। অটোচালকেরা সাধারণত বিনয়ী ও সৎ ব্যক্তি। এদের স্বল্প দূরত্বের জন্য কিংবা কোনো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পূর্বনির্ধারিত বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঘোড়ার জন্য ভাড়া করা যায়। এরা মিটারে চলে না, সুতরাং ভ্রমণ শুরুর আগে দর যেন নির্দিষ্ট থাকে। আগে থেকেই দর কষাকষি করুন, এবং খেয়াল রাখবেন অটোচালক যেন আপনার গন্তব্য বুঝতে পারেন। প্রায় ৫ কিমির স্বল্প যাত্রার খরচ প্রায় ₹১০০ হওয়া উচিত। এছাড়া বিভিন্ন শেয়ার অটো আছে যাদের দর ₹৫ প্রতি কিমির মতো কম।

হেঁটে[সম্পাদনা]

ভুবনেশ্বরের মন্দিরসমূহ এক স্বল্প এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। এই এলাকায় প্রচণ্ড ভিড় হয় এবং সরু রাস্তা ও গলি দ্বারা সংযুক্ত। সুতরাং এখানে পায়ে করে হেঁটে ঘোড়ায় ভাল।

দেখুন[সম্পাদনা]

লিঙ্গরাজ মন্দির

মন্দির এই শহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আকর্ষণ। ভুবনেশ্বর হচ্ছে এক প্রাচীন শহর যেখানে ইতিহাস জুড়ে ভারতের প্রধান ধর্মসমূহ, বৌদ্ধ ধর্ম, হিন্দুধর্ম ও জৈন ধর্মের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। এখানে সমস্ত ধর্ম তাদের স্থাপত্যের মাধ্যমে তাদের চিহ্ন রেখে এসেছে। বিশেষ করে এখানেই দশম থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দীর মধ্যে কলিঙ্গ স্থাপত্যের বিকাশ ঘটেছিল, এখানে আপনি এই স্থাপত্যের সবচেয়ে ভাল উদাহরণ পাবেন। তবে কিছু মন্দির, যেমন লিঙ্গরাজ ও কপিলেশ্বর, হিন্দু ব্যতীত অন্যান্যদের প্রবেশ করতে দেয় না। বেশিরভাগ পুরনো মন্দির ভুবনেশ্বরের ওল্ড টাউন এলাকায় পাওয়া যায়। এই মন্দিরগুলি এক ছোট এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এবং বিভিন্ন গলি ও চোরাগলির নেটওয়ার্ক দ্বারা সংযুক্ত, সুতরাং হাঁটা এক ভাল বিকল্প। নিচে তালিকাভুক্ত সমস্ত মন্দির ঘুরতে কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ দিন লাগবে। ভুবনেশ্বরে নন্দনকানন নামক এক বিশাল চিড়িয়াখানা আছে যেখানে সাফারি পরিষেবা বর্তমান। এই শহরে কিছু জাদুঘর ও উদ্ভিদ উদ্যানও বর্তমান।

প্রধান মন্দির[সম্পাদনা]

একমাত্র চৌষাঠী যোগিনী মন্দির ব্যতীত ভুবনেশ্বরের অন্যান্য প্রধান মন্দিরসমূহ ওল্ড টাউন এলাকায় বিন্দু সরোবর চারিদিকে বিস্তৃত। এগুলি হাঁটা ও অটোরিকশার সমন্বয়ের মাধ্যমে ভালভাবে ঘোরা যায়। তবে সমস্ত প্রধান মন্দির ঘুরতে গেলে অনেক সময় লাগবে।

  • 1 লিঙ্গরাজ মন্দির (ଲିଂଗରାଜ ଠାକୁର), লিঙ্গরাজ রোড, ওল্ড টাউন পূর্বাহ্ন ৮:০০–মধ্যাহ্ন, অপরাহ্ন ৪:০০–৮:০০ভুবনেশ্বরের এই দশম বা একাদশ শতাব্দীর মন্দিরকে "স্বপ্ন ও বাস্তবের সবচেয়ে সত্য সংমিশ্রণ" বলে অভিহিত করা হয়। এক বিরল শিল্পকর্ম, শিল্প সমালোচক ও ঐতিহাসিক ফার্গুসন লিঙ্গরাজ মন্দিরকে ভারতের সবচেয়ে সেরা খাঁটি হিন্দু মন্দিরের অন্যতম বলে অভিহিত করেছেন। ৫৫ মিটার উঁচু লিঙ্গরাজ মন্দিরের প্রত্যেক ইঞ্চিতে জটিল খোদাই পাওয়া যায়। ভাস্কর্য ও স্থাপত্য একত্রে এক নিখুঁত সম্প্রীতি স্থাপন করছে। হিন্দু ব্যতীত অন্যান্যদের প্রবেশাধিকার নেই; তবে বাইরের দেওয়ালের কাছেই এক উত্তোলিত দেখার প্ল্যাটফর্ম আছে। মূল মন্দিরের সামনে থেকে ডানদিকে হেঁটে সেখানে পৌঁছনো যায়। জুতো, ক্যামেরা, মোবাইল ও ব্যাগ মন্দির চত্বরে নিষিদ্ধ, আপনাকে এদের বাঁদিকের কাউন্টারে জমা করতে হবে। প্ল্যাটফর্ম থেকে মন্দিরের ছবি তোলার মতো ভাল দৃশ্য পাওয়া যায়। তবে প্রতারকদের হইতে সাবধান, তাঁরা আপনার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করতে পারেন। তাঁরা বলবেন যে তাঁরা এই মন্দিরের দায়িত্বে আছেন এবং আপনাকে "গেস্টবুক"-এ স্বাক্ষর করতে হবে, যা বিভিন্ন এলোমেলো নাম ও "ডোনেশন"-এ পূর্ণ। সেখানে আপনাকেও "ডোনেশন" করতে বলবেন। মন্দিরটির কাছেই আছে বিন্দু সরোবর, যেখানে নাকি ভারতের প্রত্যেক পবিত্র নদীর এক ফোঁটা জল বর্তমান। বিনামূল্যে, অঞ্জলি গৃহীত (Q2365530)

বৌদ্ধ ও জৈন নিদর্শন[সম্পাদনা]

রানি গুম্ফা, উদয়গিরি
ধৌলিগিরিতে ইন্দো-জাপানি শান্তি স্তূপ।
  • 2 উদয়গিরি ও খণ্ডগিরি (এনএইচ ১৬ থেকে খানিকটা দূরে)। পূর্বাহ্ন ৬:০০–অপরাহ্ন ৬:০০এই যমজ পাহাড় এক প্রাচীন জৈন মঠের অংশ ছিল, এবং এই পাহাড়দের গায়ে গুহার মতো কামরা খোদাই করা হয়েছে। খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দীর এই গুহাদের মধ্যে কিছু গুহার খোদাই অত্যন্ত সুন্দর। এর মধ্যে রানি গুম্ফা সবচেয়ে বড় ও দোতলা গুহার মধ্যে অন্যতম এবং এতে সুন্দর খোদাই এবং নিপুণ অলঙ্কার বর্তমান। হাতি গুম্ফায় রাজা খারবেল তাঁর শাসনের ইতিহাস খোদাই করেছিলেন। উদয়গিরির শৃঙ্গে খনন করা একটি জৈন মন্দির বর্তমান। খণ্ডগিরিতেও একটি জৈন মন্দির বর্তমান। উদয়গিরি: ভারতীয়দের জন্য ₹৫, বিদেশিদের জন্য ₹১০০। খণ্ডগিরি: মাথাপিছু ₹২৫ (Q3536413)
  • 3 ধৌলিগিরি, ধৌলি রোড (ভুবনেশ্বর স্টেশন থেকে ২৫ কিমি)। মৌর্য সম্রাট অশোক দ্বারা সংঘটিত কলিঙ্গের ভয়ঙ্কর যুদ্ধের সাক্ষী হচ্ছে ধৌলির অনুশাসন। এখানে কলিঙ্গের যুদ্ধে অনুতৃপ্ত অশোক খ্রিস্টপূর্ব ২৬১-এ তাঁর রক্তপিপাসু অভিযান ত্যাগ করে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। এই অনুশাসন সম্রাটের মনোভাব পরিবর্তনের সাক্ষ্য বহন করে। তিনি বিচার ও সহানুভূতির সঙ্গে তাঁর প্রশাসকদের তাঁর ভূমি প্রশাসনের অনুরোধ করেছিলেন। এই অনুশাসনগুলি এত গুরুত্বপূর্ণ যে এদের অত্যন্ত ভালভাবেই সংরক্ষণ করা হয়েছে, যদিও এগুলি খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে স্থাপন করা হয়েছিল। হাতির একটি ভাস্কর্য, যা বুদ্ধের সীমাহীন ক্ষমতার প্রতীক, এই প্রস্তর অনুশাসনের উপরে থাকে। ভারত ও জাপানের যৌথ উদ্যোগে গঠিত শান্তি স্তূপ, পাহাড়ের বিপরীতে অবস্থিত। এর চারিদিকে বুদ্ধের বিভিন্ন মূর্তি বর্তমান। বিনামূল্যে (Q3498218)

অন্যান্য[সম্পাদনা]

নন্দনকানন চিড়িয়াখানা
  • 4 নন্দনকানন চিড়িয়াখানা, নন্দনকানন রোড (ভুবনেশ্বর স্টেশন থেকে প্রায় ১৫ কিমি দূরে)। এপ্রিল–সেপ্টেম্বর: পূর্বাহ্ন ৭:৩০–অপরাহ্ন ৫:৩০। অক্টোবর–মার্চ: পূর্বাহ্ন ৮:০০–অপরাহ্ন ৫:০০। সোমবার বন্ধএই চিড়িয়াখানায় বিভিন্ন বিরল প্রজাতির প্রাণী আছে এবং এটি বিশেষ করে সাদা বাঘের জন্য পরিচিত। এখানে নৌকাবিহারের জন্য একটি ভাল পুকুর আছে। এছাড়া চিড়িয়াখানা সংলগ্ন একটি উদ্ভিদ উদ্যান আছে। উইকেন্ডে চিড়িয়াখানায় না যাওয়াই ভাল, কারণ সেখানে প্রচুর ভিড় হয়। এছাড়া এই চিড়িয়াখানাটি প্লাস্টিক-মুক্ত, সুতরাং সেখানে প্লাস্টিকের জলের বোতল সহ কোনো প্লাস্টিকের সামগ্রী নিয়ে যাবেন না। চিড়িয়াখানার মধ্যে পানীয় জলের ব্যবস্থা আছে। প্রবেশ: ভারতীয় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ₹২০, ৩–১২ বছর বয়সী ভারতীয়দের জন্য ₹৫, বিদেশিদের জন্য ₹১০০ (তবে মানচিত্র বিনামূল্যে), প্রতিদ্বন্দ্বীদের জন্য বিনামূল্যে। সাফারি: ₹৫০, প্রবেশ ও সাফারির টিকিট একই, যদিও মূল্য আলাদাভাবে লেখা থাকে। অ্যাকোয়ারিয়াম: প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ₹১০, কমবয়সীদের জন্য ₹৫। প্যাডেল বোট: ২-সিটারের জন্য ₹২৫, ৪-সিটারের জন্য ₹৫০ ও ফ্যামিলি বোটের জন্য ₹১০০। ক্যামেরার জন্য মূল্য লেখা থাকে, তবে মোবাইল ক্যামেরার জন্য সম্ভবত কেউ কিছু মনে করে না। ব্যাটারিচালিত গাড়ির (বিওভি) জন্য মাথাপিছু ₹৫০। (Q2275145)

করুন[সম্পাদনা]

কেনাকাটা[সম্পাদনা]

আহার[সম্পাদনা]

পানীয়[সম্পাদনা]

রাত্রিযাপন[সম্পাদনা]

সাবধানে থাকুন[সম্পাদনা]

ভুবনেশ্বর ভারতের সবচেয়ে সবুজ শহরের অন্যতম এবং এটি অত্যন্ত পরিষ্কার। এখানে হিংসার কোনো ইতিহাস তেমন নেই। তা সত্ত্বেও আপনি গভীর রাতে ঘুরবেন না যেহেতু শহরের বাসিন্দারা আগেই ঘুমিয়ে যান। এছাড়া গ্রীষ্মে আপনি ঠান্ডা, সাদা পোশাক পরে থাকুন।

বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান, রেলওয়ে স্টেশন ও হোটেলে প্রতারকদের হইতে সাবধান। মন্দিরের পাণ্ডাগণ কুখ্যাত হতে পারেন যদি তাঁর প্রতি সম্মান না দেখান। তবে আপনি নিজের সীমার মধ্যে থাকুন এবং প্রতারণার হাত থেকে রক্ষার জন্য ভদ্রভাবে "না" বললেই যথেষ্ট। কোনো অটোচালক বা ট্যাক্সিচালককে নিয়ে কোনোরকম সমস্যা হলে সঙ্গে সঙ্গে কোনো থানায় অভিযোগ দায়ের করুন, কিংবা ১০০ নম্বরে ডায়াল করুন।

সম্মান করুন[সম্পাদনা]