উইকিভ্রমণ থেকে

হালতি বিল নাটোর জেলার নলডাঙ্গা থানায় অবস্থিত একটি বিল। হালতি বিলের উত্তাল জলরাশি আর ঢেউ যে কারো মন নিমেষেই ভালো করে দেয়ার মত। বর্ষায় অথৈ পানি আর শীতে ফসলি জমির এই বিলের মাঝ বরাবর ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সড়ক নির্মাণ করা হয় ২০০৪ সালে।

জানুন[সম্পাদনা]

হালতির বিল বা হালতি বিল নাটোর সদর থেকে ১০ কিলোমিটার উত্তরে নলডাঙ্গা থানার অন্তর্গত বিল। এটি অত্র অঞ্চলের অন্যতম বিনোদন কেন্দ্র হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। বিনোদন কেন্দ্র হিসাবে এখানে পাটুল থেকে খাজুরা পর্যন্ত যে রাস্তা আছে সেটাই বেশি আকর্ষনীয়। বর্ষায় যখন পানিতে পরিপূর্ণ হতে থাকে বিল, তখন এই রাস্তার সৌন্দর্য বাড়তে থাকে। পর্যটকের ভিড় তখন বাড়তে থাকে। বিলের ভিতরে দ্বীপের মত যে ছোট ছোট গ্রাম আছে, সেগুলো আরও মনোমুগ্ধকর। নাটোর সদর উপজেলার পিপরুল, খাজুরা, মাধনগর ও ব্রক্ষপুর ইউনিয়নের বিস্তৃত এলাকা হালতি বিলের অংশ। বৈশাখ মাস হতে কার্তিক মাস পর্যন্ত বিল এলাকা ৫ ফুট হতে ৮ ফুট পানিতে নিমজ্জিত থাকে। প্রাকৃতিক মাছের প্রজননস্থল হিসেবে হালতি বিল বিখ্যাত। হালতি বিল আত্রাই নদীর সাথে সংযুক্ত। শীতকালে হালতি বিলের যে অংশে পানি থাকে - তা ম‌ৎস অভয়ারন্য হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে উক্ত অভয়ারন্যে শীতকালে যে মাছগুলোকে সংরক্ষন করা হয় - সেগুলো বর্ষাকালে হালতি বিলে ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রজনন মৌসুমে প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রচুর পরিমাণ মাছ উৎপাদন করে। এ এলাকায় উৎপাদিত ছোট-বড় দেশি মাছ অত্যন্ত সুস্বাদু। বর্ষাকালে এ এলাকার প্রাকৃতিক দৃশ্য নয়নাভিরাম। বর্ষাকালে হালতি বিলে নৌ-ভ্রমনের জন্য পাটুল- হাপানিয়া এলাকায় প্রচুর পর্যটকের সমাগম ঘটে।

কীভাবে যাবেন[সম্পাদনা]

হালতি বিলে যেতে হলে শুরুতে যেতে হবে নাটোর শহরে। সেখানে যাবার পর শহরের মাদ্রাসা মোড় থেকে জনপ্রতি ৩০ টাকা করে অটোতে করে যাওয়া যায়, তবে অটো রিসার্ভ করে গেলে ভাড়া ২০০ টাকা। বিলে ঘোরার জন্য ছোট বড় বিভিন্ন নৌকা রয়েছে ভাড়া করে দিলে ভ্রমণ করা যায়।

কী দেখবেন[সম্পাদনা]

  • পাটুল
  • খাজুরা

খাওয়া[সম্পাদনা]

বিলের আশেপাশে ভালো খাবার দোকান নেই। দুপুরের খাবার জন্য কিছু মৌসুমি খাবার দোকান রয়েছে। ভালো মানের খাবারের জন্য নাটোর শহরে যেতে হয়।

  • কাঁচাগোল্লাকাঁচাগোল্লা নাটোর জেলার একটি ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি। দেশব্যাপী কাঁচাগোল্লার স্বাদের জন্য বিখ্যাত। এটি নাটোরের যে কোন মিষ্টির দোকানে পাওয়া যায়। সবচেয়ে বিখ্যাত কাঁচাগোল্লা পাওয়া যায় কালিবাড়ী মন্দির গেট, মৌচাক মিষ্টান্ন ভান্ডারে।

কোথায় থাকবেন[সম্পাদনা]

নাটোর জেলায় থাকার জন্য হোটেল ও গেস্টহাউজের মধ্যে রয়েছে:

  • হোটেল ভিআইপি, বড় হরিষপুর, নাটোর (এই হোটেলটি কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের ১ কিলোমিটার পশ্চিমে এবং মাদ্রাসা মোড়ের পূর্বে অবস্থিত।), +৮৮০৭৭১-৬৬০৯৭, +৮৮০১৭১৮৬৭৩৭৩৫
  • হোটেল মিল্লাত, মাদ্রাসা মোড়, নাটোর সদর, নাটোর (এই হোটেলটি কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের ১ কিলোমিটার পশ্চিমে এবং মাদ্রাসা মোড়ের পূর্বে অবস্থিত।)।
  • হোটেল বনফুল, আহমেদপুর,বড়াইগ্রাম,নাটোর।, +৮৮০১৭২৬৩৭৬৬৮৮
  • জেলা পরিষদ ডাক বাংলো, বাগাতিপাড়া, বাগাতিপাড়া উপজেলা (বাগাতিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যানের বাস ভবন ও উপজেলা পরিষদ মসজিদ সংলগ্ন)।
  • হোটেল প্রিন্স, রেলওয়ে স্টেশন বাজার, নাটোর সদর, নাটোর (নাটোর রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন), +৮৮০৭৭১-৬১৩৫৬, +৮৮০১৭৪৬০২৯৪২৯
  • হোটেল রাজ, মাদ্রাসা মোড়, নাটোর সদর, নাটোর, +৮৮০৭৭১-৬৬৬৬০, +৮৮০১৭২৭৩৭১৫০০
  • হোটেল রুখসানা, কানাইখালী, পুরান বাসস্ট্যান্ড, নাটোর সদর, নাটোর, +৮৮০৭৭১-৬২৪৩১, +৮৮০১৭৩৯৯৮৭০১৭
  • নাটোর বোর্ডিং, নিচাবাজার, হাসপাতাল সড়ক, নাটোর সদর, নাটোর, +৮৮০৭৭১-৬২০০১
  • নাটোর সুগার মিলস গেস্টহাউজ, নাটোর সুগার মিলস এলাকা, নাটোর সদর, নাটোর
  • বিসমিল্লাহ হোটেল, গুরুদাসপুর উপজেলা কমপ্লেক্স, গুরুদাসপুর, নাটোর।
  • চাঁচকৈর হোটেল ও রেস্তোরাঁ, চাঁচকৈর বাজার,গুরুদাসপুর উপজেলা, নাটোর (গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈর বাজারে চাঁচকৈর হোটেল ও রেস্তোরাঁ অবস্থিত)।