বিষয়বস্তুতে চলুন

উইকিভ্রমণ থেকে
এই পাতাটি অপসারণের জন্য মনোনীত করা হয়েছে। অপসারণ নীতিমালাটি পড়ে, উইকিভ্রমণ:অপসারণ ভোটাভুটি পাতায় আপনার মতামত দিন। আলোচনাটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত দয়া করে এই বিজ্ঞপ্তিটি সরিয়ে ফেলবেন না। আপনি যদি এই নিবন্ধের লেখক হন তবে মনে রাখবেন, এই মনোনয়নটি আপনার কাজের সমালোচনা নয়, বরং এটি আপনার নিবন্ধের শিরোনাম বা বিষয় উইকিভ্রমণের নিবন্ধের মানদণ্ড পূরণ করতে পারে কিনা তার একটি বিজ্ঞপ্তি।

নীল দিগন্ত পর্যটন কেন্দ্র বান্দরবান জেলা থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে থানচি উপজেলার জীবন নগর এলাকায় অবস্থিত। প্রায় সাড়ে ৩ একর জায়গা নিয়ে পাহাড়ের চূড়ায় গড়ে উঠেছে এই পর্যটন কেন্দ্রটি। নীলগিরি থেকে নীল দিগন্ত পর্যটন কেন্দ্রটি মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। দৃষ্টিনন্দন প্রবেশদ্বার দিয়ে প্রবেশ করলে একে একে ভিউ পয়েন্ট, গোলঘর ও ক্যান্টিন পাবেন। ভিউ পয়েন্ট থেকে কেওক্রাডংতাজিংডং পর্বত দেখা যায়।

যাতায়াত

[সম্পাদনা]

প্রথমে বান্দরবান আসতে হবে। রাজধানী শহর ঢাকা থেকে বিভিন্নভাবে বান্দরবান আসা যায়। বাসযোগে সরাসরি আসা যায়। তবে ভেঙে আসলে বাস, ট্রেন, বিমান পছন্দসই যেকোন মাধ্যম বেছে নেওয়া যাবে।

বাস

ঢাকা টু বান্দরবান রুটে ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে এস. আলম, সৌদিয়া, ইউনিক, হানিফ, শ্যামলি, সেন্টমার্টিন পরিবহন, ডলফিন ইত্যাদি পরিবহনের বাস বান্দরবনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এসি ও ননএসি জনপ্রতি এসব বাসের ভাড়া ৫৫০ থেকে ১৫০০ টাকা। অথবা ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম এসে তারপর চট্রগ্রামের বিআরটিসি টার্মিনাল বা দামপাড়া বাস স্ট্যান্ড থেকে ১০০-৩০০ টাকায় বাস ভাড়ায় বান্দরবন আসা যায়। চট্রগ্রাম থেকে প্রাইভেট কারে ২৫০০-৩৫০০ টাকায় বান্দরবন যাওয়া যায়।

ট্রেন

ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম গামী সোনার বাংলা, সুবর্ণ এক্সপ্রেস, তূর্ণা নিশিতা, মহানগর প্রভাতি কিংবা মহানগর গোধূলি ট্রেনে করে চট্রগ্রাম আসা যায়। শ্রেণী ভেদে ট্রেন ভাড়া ৩৫০ থেকে ১৫০০ টাকা। চটগ্রাম এসে উপরে নিয়মে বান্দরবান যেতে হবে।

আকাশপথ

বাংলাদেশ বিমান, জিএমজি এয়ার লাইনস, ইউনাইটেড এয়ার ওয়েজসহ বেশকিছু বিমান ঢাকা থেকে সরাসরি চট্রগ্রাম ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। আকাশপথে চট্রগ্রাম এসে সড়কপথে উপরে উল্লেখিত উপায়ে বান্দরবান যেতে হবে।

বান্দরবান থেকে নীল দিগন্ত

বান্দরবান থেকে নীল দিগন্ত যেতে জীপ/চান্দের গাড়ি/মহেন্দ্র/সিএনজি অথবা লোকাল বাস পারবেন। সবচেয়ে ভালো হয় রিজার্ভ গাড়ি নিয়ে গেলে। এতে সহজেই আপনি আশেপাশের আরও কিছু জায়গা ভালভাবে ঘুরে দেখতে পারবেন। বান্দরবান জীপ স্টেশন থেকে ৩০০০ থেকে ৫০০০ টাকা ভাড়ায় যাওয়া আসার গাড়ি পাওয়া যায়। চাঁন্দের গাড়ি গুলোতে সাধারণত ১২-১৪ জন যাওয়া যায়, ল্যান্ডক্রুজার টাইপ জীপ গুলোতে বসা যায় ৭ থেকে ৮ জন, আর ছোট জীপ গুলোতে ৪-৫ জন বসা যায়।

নীল দিগন্ত যাবার পথেই নীলগিরি, মিলনছড়ি ভিউ পয়েন্ট, শৈল প্রপাত ঝর্ণা, সাইরু হিল রিসোর্ট ও চিম্বুক পর্যটন কেন্দ্র পার হয়ে যেতে হবে।

রাত্রিযাপন

[সম্পাদনা]

নীলদিগন্তে থাকার ব্যবস্থা নেই। পাঁচ কিলোমিটার দূরের নীলগিরিতি থাকা যাবে অথবা শহরে ফিরে আসতে হবে।

বান্দরবানে থাকার জন্যে বেশ কিছু হোটেল, রিসোর্ট ও কটেজ রয়েছে। বান্দরবান শহর ও তার আশেপাশেই হোটেল ও রিসোর্ট গুলোর অবস্থান। বান্দরবান থাকার জন্যে যে সকল হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে তার মধ্যে:

  • হোটেল হিল ভিউ: বান্দরবান শহরের বাস স্ট্যান্ড এর পাশেই। ভাড়া ৮০০ থেকে ২৫০০ টাকা।
  • হোটেল হিলটন: বান্দরবান শহরের বাস স্ট্যান্ড এর কাছেই। ভাড়া ৮০০ থেকে ৩০০০ টাকা।
  • হোটেল প্লাজা: বাস স্ট্যান্ড থেকে ৫মিনিট হাঁটা দূরত্বে। ভাড়া ৬০০ থেকে ৩০০০ টাকা।
  • রিভার ভিউ: শহরের সাঙ্গু নদীর তীর ঘেষে হোটেলটির অবস্থান। ভাড়া ৬০০ থেকে ২০০০ টাকা।
  • পর্যটন মোটেল: পাহাড় ও লেকের পাশেই অবস্থিত। শহর থেকে ৪ কি:মি: দুরে মেঘলায় অবস্থিত। ভাড়া ১২০০ থেকে ২৫০০ টাকা।

নীলদিগন্তে খাওয়ার জন্যে একটা ক্যান্টিন আছে। বান্দরবান শহরে খাওয়ার জন্যে রয়েছে বেশি কিছু রেস্তোরা, তার মধ্যে তাজিং ডং ক্যাফে, মেঘদূত ক্যাফে, ফুড প্লেস রেস্তোরাঁ, রুপসী বাংলা রেস্তোরাঁ, রী সং সং, কলাপাতা রেস্তোরাঁ ইত্যাদি।

আরও দর্শনীয় স্থান

[সম্পাদনা]