উইকিভ্রমণ থেকে

পটুয়াখালী সদর উপজেলা বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলার অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক এলাকা। ৩৬২.৬২ বর্গ কিমি আয়তনের এই উপজেলাটি ২২°১৪´ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২২°২৯´ উত্তর অক্ষাংশের এবং ৯০°১২´ পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে ৯০°২৮´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত, যার উত্তরে দুমকি উপজেলা; দক্ষিণে গলাচিপা আমতলীবরগুনা সদর উপজেলা; পূর্বে বাউফলগলাচিপা উপজেলা এবং পশ্চিমে মির্জাগঞ্জ উপজেলা

কীভাবে যাবেন?[সম্পাদনা]

রাজধানী ঢাকা থেকে উপজেলা সদরের দূরত্ব ২০৪ কিলোমিটার। এই জেলাটি একটি উপকূলীয় ও নদীবহুল অঞ্চল হওয়ায় এখানকার যেকোনো স্থানে আসার জন্য নৌপথ সবচেয়ে সুবিধাজনক পরিবহন ব্যবস্থা। তবে, সড়ক পথেও এখানে আসা সম্ভব; সেক্ষেত্রে ফেরী পারাপার হতে হবে। পটুয়াখালীতে রেল যোগাযোগ বা বিমান বন্দর নেই বলে এই দুটি মাধ্যমে এখানকার কোনো স্থানে আসা যায় না।

সড়কপথে[সম্পাদনা]

ঢাকা থেকে পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে যেসব গাড়ি ছেড়ে যায় সেগুলো হল এসি চেয়ার কোচ, হিনো চেয়ার কোচ ও নরমাল চেয়ার কোচ। এসি চেয়ার কোস ও হিনো চেয়ার কোচগুলো গুলো ফেরী পারাপার এবং নরমাল চেয়ার কোসগুলো লঞ্চ পারাপার। এছাড়া লোকাল পথেও বরিশাল হয়ে যাওয়া যায়।

কাটা লাইনে পটুয়াখালী যেতে চাইলে গুলিস্তান থেকে যেসব গাড়িগুলো ছেড়ে যায় সেগুলো শুধু মাওয়াঘাট পর্যন্ত যায়। তারপর যাত্রীগণকে গাড়ি থেকে নেমে লঞ্চে অথবা স্প্রীড বোর্ডে কাওরাকান্দি যেতে হয়। লঞ্চে পদ্মা নদী পার হতে হলে ১.৩০ থেকে ২.০০ ঘণ্টা সময় লাগে। লঞ্চ ভাড়া ৩০ টাকা। স্প্রীড বোর্ডে নদী পার হলে আনুমানিক ২০ মিনিট সময় লাগে। স্প্রীড বোর্ডে ভাড়া ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। কাওরাকান্দি থেকে বাস অথবা মাইক্রোবাসে বরিশাল যাওয়া যায়। বাসে ডাইরেক্ট বরিশাল ভাড়া ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা। মাইক্রোবাসে ডাইরেক্ট বরিশাল ভাড়া ১৮০-২০০ টাকা। এছাড়া কাওরাকান্দি থেকে ভাংগা পর্যন্তও বাসে যাওয়া যায়। কাওড়াকান্দি থেকে ভাংগা পর্যন্ত বাস ভাড়া-৪০, ভাংগা থেকে বরিশাল পর্যন্ত বাস ভাড়া- ৮০ থেকে ১০০ টাকা। এরপর বরিশাল থেকে পটুয়াখালী যেতে হয়; বরিশাল থেকে পটুয়াখালী ভাড়া ৬০ টাকা।

নৌপথে[সম্পাদনা]

ঢাকা সদরঘাট নদী বন্দর লঞ্চ টার্মিনাল থেকে পটুয়াখালীর লঞ্চ আছে। এছাড়াও ঝালকাঠির উদ্দেশ্যে যেসব লঞ্চ ছেড়ে যায় সেগুলোতে আসা যায়; বা বরিশালগামী লঞ্চে এসে সেখান থেকে লোকাল নৌযানে আসা যায়।

দর্শনীয় স্থানসমূহ[সম্পাদনা]

  1. শ্রীরামপুর মিয়া বাড়ি মসজিদ (১৭ শতক),
  2. সদর বড় মসজিদ (১৮ শতক),
  3. ঝোপখালী শিকদার বাড়ির তিনগম্বুজ মসজিদ (১৮ শতক),
  4. লোহালিয়া মিয়া বাড়ি (১৯ শতক),
  5. বিঘাই মিয়া বাড়ি (১৯ শতক),
  6. রাজেশ্বর রায় চৌধুরী ভবন (১৯ শতক),
  7. মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ (পুরাতন টাউন হলের সামনে),
  8. আ: রাজ্জাক বিশ্বাসের সাপের খামার,
  9. লাউকাঠী ওয়াপদা কলনী দিঘি,
  10. পুরাতন আদালত ভবন,
  11. পুরাতন জমিদার বাড়ী,
  12. পটুয়াখালী বৌদ্ধ বিহার,
  13. দক্ষিণ বিঘাই পায়ারা নদীর দ্বিপ,
  14. লোহালিয়ার জোড়া মসজিদ (১৯ শতক),
  15. সরকারি জুবিলী হাইস্কুল (১৮৮৭),
  16. শ্রীরামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯০০)।

খাওয়া - দাওয়া[সম্পাদনা]

থাকা ও রাত্রি যাপনের স্থান[সম্পাদনা]

পটুয়াখালীতে থাকার জন্য স্থানীয় পর্যায়ের কিছু সাধারণ মানের হোটেল রয়েছে। এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় থাকার জন্যে রয়েছে উন্নতমানের -

  • জেলা পরিষদ ডাকবাংলো - পটুয়াখালী।
  • হোটেল বনানী - কলেজ রোড, পটুয়াখালী।
  • গাজী বোডিং - গোরস্থান রোড, পটুয়াখালী; মোবাইল: +৮৮০১৭১২-৮৯৫ ৪০৭।

জরুরি নম্বরসমূহ[সম্পাদনা]

  • ওসি, পটুয়াখালী সদর: মোবাইল: +৮৮০১৭১৩-৩৭৪ ৩১৮।