বিষয়বস্তুতে চলুন

উইকিভ্রমণ থেকে
চন্দ্রনাথ মন্দির

সীতাকুণ্ড বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী উপজেলা, যা তার অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পাহাড়ি জলপ্রপাত এবং ঐতিহাসিক মন্দিরগুলোর জন্য সুপরিচিত। এটি চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ৩৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে একটি জনপ্রিয় গন্তব্য। সীতাকুণ্ডে দেশের প্রথম ইকোপার্ক স্থাপন করা হয়েছে, যা প্রকৃতি ও পাহাড়প্রেমীদের জন্য এক বিশেষ আকর্ষণ। এছাড়াও চন্দ্রনাথ পাহাড় ও চন্দ্রনাথ মন্দির হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য একটি তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত। সীতাকুণ্ডের বোটানিক্যাল গার্ডেন, গুলিয়াখালী সমুদ্রসৈকত এবং বিভিন্ন ঝর্ণা ভ্রমণকারীদের মনোমুগ্ধ করে।

জানুন

[সম্পাদনা]

চট্টগ্রাম জেলা সদর থেকে প্রায় ৩৭ কিলোমিটার উত্তরে ২২°২২´ থেকে ২২°৪২´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৩৪´ থেকে ৯১°৪৮´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ জুড়ে অবস্থিত সীতাকুণ্ড উপজেলার আয়তন ২৭৩.৪৭ বর্গ কিলোমিটার। সীতাকুণ্ড থানা গঠিত হয় ১৯৭৯ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে। সীতাকুণ্ড উপজেলায় বর্তমানে ১টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়ন রয়েছে।

প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ ও ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায়, প্রাচীন কালে এখানে মহামুণি ভার্গব বসবাস করতেন। অযোদ্ধার রাজা দশরথের পুত্র রামচন্দ্র তাঁর বনবাসের সময় এখানে এসেছিলেন। মহামুণি ভার্গব তাঁরা আসবেন জানতে পেরে তাঁদের স্নানের জন্য তিনটি কুণ্ড সৃষ্টি করেন এবং রামচন্দ্রের এখানে ভ্রমণ কালে তাঁর স্ত্রী সীতা এই কুণ্ডে স্নান করেন। এই কারণেই এখানকার নাম সীতাকুণ্ড বলে অনেকের ধারণা।

২০১১ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সীতাকুণ্ড উপজেলার জনসংখ্যা ৩,৩৫,১৭৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১,৮২,২২৩ জন এবং মহিলা ১,৫২,৯৫৫ জন। এ উপজেলার ৮৬% লোক মুসলিম, ১৩% হিন্দু এবং ১% বৌদ্ধ ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বী।

প্রবেশ

[সম্পাদনা]

সড়কপথে

[সম্পাদনা]

চট্টগ্রাম শহরের অলংকার মোড় এলাকা থেকে ঢাকা ট্রাঙ্ক রোড হয়ে বাস বা সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে সীতাকুণ্ড যাওয়া যায়।

রেলপথে

[সম্পাদনা]

চট্টগ্রাম শহরের বটতলী রেলস্টেশন থেকে রেলযোগেও সীতাকুণ্ড যাওয়া যায়।

দেখুন

[সম্পাদনা]
মানচিত্র
সীতাকুণ্ডের মানচিত্র
বাড়ৈয়াঢালা জাতীয় উদ্যান
গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত
সহস্রধারা
ব্যাস কুন্ড
রাম লক্ষ্মণ কুণ্ড
শঙ্কর মঠ ও মিশন
ঝরঝরি ঝর্ণা
চন্দ্রনাথ মন্দির
  • অক্ষয়বট ব্যাসকুণ্ডের পশ্চিম পাড়ে এবং ভৈরব মন্দিরের বাম পাশে একটি বিশালাকৃতির বটগাছ রয়েছে, যা অক্ষয় বট নামে পরিচিত।
  • বারৈয়াঢালা আশ্রম (নারায়ণ আশ্রম)। সীতাকুণ্ড সদর থেকে ১০ কিলোমিটার উত্তরে বারৈয়াঢালা নামক স্থানে বারৈয়াঢালা আশ্রম অবস্থিত। শ্রীমৎ স্বামী মাধবানন্দ মহারাজ এই আশ্রমটি প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে সারাবছর ধরে প্রতিদিন ভগবান শ্রী নারায়ণ দেবের পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
  • 1 চন্দ্রনাথ পাহাড় উইকিপিডিয়ায় চন্দ্রনাথ পাহাড় (Q13060051)

উদ্যান

[সম্পাদনা]

জলাধার

[সম্পাদনা]
  • গয়াক্ষেত্র সয়ম্ভুনাথ মন্দির থেকে সামান্য পূর্বে এগিয়ে চন্দ্রনাথ মন্দিরে যাওয়ার পথে বাম দিকে ৩০-৪০টি সিঁড়ি নিচে নামলেই গয়াক্ষেত্র দেখা যায়। এখানে একটি কুণ্ডের মতো স্থান রয়েছে, যা ইতিহাস অনুযায়ী মন্থন নদীর প্রবাহ পথ ছিল। নদীটি পূর্ব থেকে পশ্চিমে প্রবাহিত হতো, তবে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে এটি বর্তমানে শুকিয়ে গেছে। এই স্থানে পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে পিণ্ডদান করা হয়।
  • 4 গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত (মুরাদপুর সৈকত)। সীতাকুণ্ডের সীতাকুণ্ড বাজার থেকে ৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতকে পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে। উইকিপিডিয়ায় গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত (Q58330932)
  • 5 ঝড়ঝড়ি ঝর্ণা (ঝরঝরি ঝর্ণা)। সীতাকুণ্ড বাজারের নিকটস্থ পান্থছিলা এলাকায় অবস্থিত ঝরঝরি ঝর্ণা। পান্থছিলা বাজার থেকে ঝরঝরি ঝর্ণা পর্যন্ত হেঁটে পৌঁছাতে সাধারণত প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লাগে। ঝর্ণাটি আকারে খুব বড় নয়, তবে এর সৌন্দর্য মনোমুগ্ধকর। ঝর্ণার পাশে বেশকয়েকটি ক্যাসকেড রয়েছে। বর্ষাকালে, ঝর্ণাগুলোর পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় খুমগুলো দেখতে দারুণ হলেও এগুলো বেশ বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। এই ট্রেইলে "স্বপ্নের সিঁড়ি" নামে পরিচিত একটি ক্যাসকেড রয়েছে। ট্রেইলের শেষ প্রান্তে "মূর্তি ঝর্ণা" অবস্থিত। উইকিপিডিয়ায় ঝরঝরি ঝর্ণা (Q106646952)
  • 6 বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত, বাঁশবাড়ীয়া উইকিপিডিয়ায় বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত (Q107563471)
  • সহস্রধারা ঝর্ণা, ছোটদারোগার হাট (ছোট দারোগার হাট বাজার থেকে রাস্তার পূর্ব পার্শ্ব দিয়ে রিকশায় পাহাড়ের পাদদেশ পর্যন্ত পৌঁছে, এরপর পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যেতে হবে।)। উইকিপিডিয়ায় সহস্রধারা ঝর্ণা (Q55232286)

কুন্ড

[সম্পাদনা]
  • দধিকুণ্ড লবণাক্ষকুণ্ডের অতিরিক্ত পানি সরু পথ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কিছু দূরে একটি কুণ্ড তৈরি করেছে, যা দধিকুণ্ড নামে পরিচিত।
  • 7 ব্যাস কুন্ড, মন্দির সড়ক, চন্দ্রনাথ ধাম "পুরাণ" অনুযায়ী মহামুনি ব্যাসদেব এবং অন্যান্য ঋষিগণসহ এখানে অশ্বমেধ যজ্ঞ করেছিলেন। স্থানীয় জনশ্রুতি রয়েছে যে, শিবচতুর্দশী তিথিতে সয়ম্ভূনাথ মন্দির দর্শন করার আগে এই কুণ্ডে স্নান করতে হয়। পূর্বে এটি প্রায় ৬ বর্গফুট আকারের ছিল, কিন্তু তীর্থযাত্রীদের সুবিধার্থে এটি এখন পুকুরের আকারে পরিবর্তিত করা হয়েছে। (Q56457791)
  • 8 বাড়বকুণ্ড অগ্নিকুণ্ড, বাড়বকুণ্ড বাড়বাকুণ্ড রেলস্টেশন থেকে প্রায় এক মাইল পূর্বে পাহাড়ঘেরা মনোরম স্থানে বাড়বাকুণ্ড মন্দির অবস্থিত। এটি একটি দোতলা মন্দির, যার নিচতলায় বাড়বাকুণ্ড কুণ্ডটি অবস্থিত। মন্দিরের উত্তর পাশে রয়েছে বাসীকুণ্ড, আর তার ঠিক পাশেই কালভৈরব মন্দির। বাসীকুণ্ডের পানি ফুটন্ত গরম জলের মতো শব্দ করে। স্থানীয়রা একে "অগ্নিপ্রসবন" নামেও অভিহিত করেন, যা এ জায়গার একটি বিশেষ আকর্ষণ।
  • 9 রাম লক্ষণ কুণ্ড রাম, সীতা এবং লক্ষণ বনবাসের সময় শরভঙ্গ মুনির আশ্রমে গিয়েছিলেন। সেখানে মুনি তাঁদের পূর্বদেশ ভ্রমণের পরামর্শ দেন। এ খবর মহামুনি ভৃগু ধ্যানের মাধ্যমে জানতে পেরে তাঁদের স্নানের জন্য তিনটি ঊষ্ণ পানির কুণ্ড সৃষ্টি করেন। সীতাকুণ্ড পাহাড় ভ্রমণের সময় তাঁরা এই কুণ্ডে স্নান করেন। এই তিনটি কুণ্ডের মধ্যে যেটিতে রাম স্নান করেছিলেন, সেটিই রাম লক্ষণ কুণ্ড নামে পরিচিত। তবে বর্তমানে এই কুণ্ডগুলো শুকিয়ে গেছে এবং ইটের দেয়াল দিয়ে সংরক্ষিত চিহ্ন হিসেবে রাখা হয়েছে। (Q56457351)
  • 10 সীতাকুণ্ড রাম, সীতা এবং লক্ষণ তাদের বনবাসের সময় শরভঙ্গ মুনির আশ্রমে গিয়েছিলেন। সেখানে মুনি তাঁদের পূর্বদেশ ভ্রমণের পরামর্শ দেন। এদিকে মহামুনি ভার্গব ধ্যানের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে তাঁদের স্নানের জন্য ৩টি ঊষ্ণ পানির কুণ্ড সৃষ্টি করেন। তাঁরা সীতাকুণ্ড পাহাড় ভ্রমণের সময় এই কুণ্ডে স্নান করেন। এই তিনটি কুণ্ডের মধ্যে যেটিতে সীতা স্নান করেছিলেন, সেটিই সীতাকুণ্ড নামে পরিচিত। তবে বর্তমানে কুণ্ডগুলো শুকিয়ে গেছে এবং ইটের দেয়াল দিয়ে চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে।
  • 11 সূর্যকুণ্ড লবণাক্ষ কুণ্ড থেকে কিছুটা পূর্বে সূর্যকুণ্ড অবস্থিত। এখানে একটি ছোট মন্দির রয়েছে।

স্থাপত্য

[সম্পাদনা]
  • অন্নপূর্ণা ও বিষ্ণু মন্দির সয়ম্ভূনাথ মন্দিরের উত্তর পাশে অন্নপূর্ণা ও বিষ্ণু মন্দির অবস্থিত।
  • উনকোটি শিব স্বয়ম্ভূনাথ মন্দির থেকে বিরূপাক্ষ মন্দিরে যাওয়ার পথে, রাস্তার বাম পাশে গিরি গুহার অভ্যন্তরে উনকোটি শিব অবস্থিত। এক সময় এখানে ৮টি নদী প্রবাহিত ছিল। এখানে শত শত শিবলিঙ্গ রয়েছে, এবং এগুলো সারা দিনরাত মন্দাকিনীর পানিতে স্নান করছে।
  • 12 চন্দ্রনাথ মন্দির, চন্দ্রনাথ পাহাড় (প্রায় ৩ কি: মি: পাহারের উপরের উঠতে হবে।)। চন্দ্রনাথ মন্দির অন্যতম শক্তিপীঠ। সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথ পাহাড়ের চুড়ায় এই মন্দির অবস্থিত। এখানে হিন্দু পবিত্র গ্রন্থ অনুসারে সতী দেবীর দক্ষিণ হস্তার্ধ পতিত হয়েছিল। এই মন্দিরে প্রতিবছর শিবরাত্রি তথা শিবর্তুদশী তিথিতে বিশেষ পূজা হয়; এই পূজাকে কেন্দ্র করে সীতাকুণ্ডে বিশাল মেলা হয়। উইকিপিডিয়ায় চন্দ্রনাথ মন্দির (Q857380)
  • 13 জগন্নাথ মন্দির, চন্দ্রনাথ পাহাড় মহন্তের আস্তানার পাশে জগন্নাথ মন্দির অবস্থিত। মন্দিরে ভগবান জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রার মূর্তি প্রতিষ্ঠিত। প্রতি বছর বর্ষাকালে (আষাঢ় মাসে) এখানে রথযাত্রা উৎসব উদযাপিত হয়।
  • 14 জ্বালামুখী কালীবাড়ী, বাড়বাকুণ্ড বাড়বাকুণ্ড রেলওয়ে স্টেশন থেকে বাড়বাকুণ্ড মন্দিরে যাওয়ার পথে রাস্তার ডান পাশে জ্বালামুখী কালীবাড়ী অবস্থিত। এখানে কালী মায়ের নিম কাঠ দিয়ে নির্মিত মূর্তি রয়েছে।
  • দধি ভৈরব বাড়বকুণ্ড মন্দিরে ওঠার সিঁড়ির পাশে একসময় একটি তেতুল গাছের নিচে দধি ভৈরব অবস্থিত ছিল (বর্তমানে তেতুল গাছটি আর নেই)। এটি একটি গোলাকার শিলাখণ্ড, যার উপরের অংশে একটি গর্ত রয়েছে। ওই গর্তে দুধ ঢাললে তা মুহূর্তেই দইয়ে পরিণত হয়। এই বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারণেই একে দধি ভৈরব বলা হয়।
  • পাতালপুরী বিরূপাক্ষ মন্দির থেকে চন্দ্রনাথ মন্দিরে যাওয়ার পথে, রাস্তার পূর্বদিকে প্রায় আধা মাইল নিচে নামলেই পাতালপুরী দেখা যায়। এখানে হর গৌরী, দ্বাদশ শালগ্রাম, বিশ্বেশ্বর শিব, পাতালকালী, অষ্টবসু, রুদ্রেশ্বর শিব, গোপেশ্বর শিব, পঞ্চানন শিব, মন্দাকিনী, পাতাল গঙ্গাসহ বিভিন্ন দেবদেবীর উপস্থিতি রয়েছে।
  • বিরুপাক্ষ মন্দির শিব মন্দির। সয়ম্ভূনাথ মন্দির থেকে চন্দ্রনাথ মন্দিরে যাবার পথে এ মন্দিরটি দেখা যাবে।
  • ভবানী মন্দির এটি চন্দ্রনাথ পাহাড়ের স্বয়ম্ভূনাথ মন্দিরের নিচে অবস্থিত। প্রাচীন কাহিনীতে উল্লেখ আছে যে, শিবের স্ত্রী সতীর পিতা রাজা দক্ষ যজ্ঞ অনুষ্ঠান করছিলেন, তবে তিনি জামাতা শিবকে ছাড়া অন্য সকল দেব-দেবীকে সে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করেন। এই অপমান সহ্য করতে না পেরে সতী যজ্ঞে আত্মাহুতি দিয়ে দেহত্যাগ করেন। ভগবান শিব তখন সতীর মৃতদেহ নিয়ে প্রলয় নৃত্য করতে থাকেন। পুরো সৃষ্টির ধ্বংস হতে দেখে ভগবান বিষ্ণু শিবের প্রলয় নৃত্য বন্ধ করার জন্য তাঁর সুদর্শন চক্র দিয়ে সতীর দেহকে খণ্ড-খণ্ড করে ফেলেন। এই দেহাবশেষ ৫১ খণ্ডে বিভক্ত হয়ে ৫১ স্থানে ফেলা হয়, এবং তা থেকে ৫১ মাতৃপীঠ বা শক্তিপীঠের সৃষ্টি হয়। পুরাণে উল্লেখ আছে যে, সীতাকুণ্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড়ে সতীর ডান হাত পড়েছে। এই পীঠস্থানটিই ভবানী মন্দির, যেখানে দেবী কালী মাতা অধিষ্ঠিত।
  • 15 শংকর মঠ সীতাকুণ্ডের ঐতিহ্যবাহী আশ্রমগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি শংকরাচার্যের অনুসারীদের একটি আশ্রম। এখানে একটি অনাথ আশ্রম, একটি সরকার অনুমোদিত সংস্কৃত কলেজ এবং একটি দাতব্য চিকিৎসালয় রয়েছে।
  • 16 সম্ভুনাথ মন্দির (সীতাকুন্ড কলেজ রোড দিয়ে ১ কি.মি. ভিতরে)। ভবানী মন্দির থেকে ২০-২৫টি সিঁড়ি উপরে উঠলেই আপনি বেশ কিছু দেব-দেবীর মন্দিরের সংলগ্ন স্থানে পৌঁছাবেন। এখানকার সবচেয়ে বড় এবং প্রধান মন্দিরটি হলো স্বয়ম্ভূনাথ মন্দির, যা মূলত ভগবান শিবের মন্দির। স্বয়ম্ভূনাথের অপর নাম ত্রায়ম্বদীশ্বর। তাঁর মাথায় একটি অর্ধচন্দ্রাকৃতির গোলাকার ছিদ্র রয়েছে। এখানে সারা বছর জুড়ে পূজা অনুষ্ঠিত হয় এবং শিবরাত্রি তথা শিবরাত্রিতে বিশেষ পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
  • হনুমান মন্দির সয়ম্ভুনাথ মন্দিরের কাছে, সীতা মন্দিরের সামনে পাহাড়ের ওপরে হনুমান মন্দির অবস্থিত।

খাবার

[সম্পাদনা]

সীতাকুণ্ডে ভ্রমণের সময় স্থানীয় খাবারের স্বাদ নেওয়া একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা হতে পারে। এখানে প্রচলিত চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী খাবার যেমন মেজবানী মাংস, কালাভুনা, এবং নানান ধরনের সজীব সামুদ্রিক মাছের পদ সহজেই পাওয়া যায়। উপজেলার বাজার এলাকায় ছোট ছোট রেস্টুরেন্ট এবং স্থানীয় খাবারের দোকানে ভোজনরসিকদের জন্য সুস্বাদু খাবার মেলে। এছাড়াও, গুলিয়াখালী সৈকতের আশেপাশে কিছু অস্থায়ী খাবারের দোকান রয়েছে, যেখানে তাজা মাছ ভাজা এবং নারকেল পানির স্বাদ উপভোগ করা যায়।

ভ্রমণের সময় খাবারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি। পরিচ্ছন্ন এবং বিশ্বস্ত রেস্টুরেন্ট বেছে নেওয়া স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

রাত্রিযাপন

[সম্পাদনা]

সীতাকুণ্ড চট্টগ্রাম মহানগরীর খুব কাছে হওয়ায় ভ্রমণ শেষে মহানগরীর যে কোন জায়গায় সুলভে থাকতে পারেন। এছাড়া সীতাকুণ্ডে থাকার জন্য সরকারি পরিচালনাধীন উপজেলা পরিষদ ডাক বাংলো ছাড়াও ব্যক্তি মালিকানাধীন হোটেল রয়েছে।

  • 1 হোটেল ডায়মন্ড পার্ক, +৮৮০ ১৮১২-৯৬৫২৫২ আগমন: ১২.০০, প্রস্থান: ১২.০০
  • 17 গ্রীন হাউস রেসিডেন্টশিয়াল হোটেল, বাস স্ট্যান্ড, বিবির হাট ৪৩৫০, বাংলাদেশ, +৮৮০ ১৭৬৫-৪০৪১৪০

পরবর্তী ভ্রমণ

[সম্পাদনা]